৯৭জন জিপিএ-৫ পেয়ে সুনামগঞ্জে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২২, ১০:৪০ পিএম

এবার এসএসসি পরীক্ষা ফলাফলে সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গৌরব অর্জন করেছে জেলার প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়। এবার এ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ২৩৪ জন অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে দু’জন অকৃতকার্য হয়েছে। ৯৭জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। এছাড়াও শহরের সরকারী সতীশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৩৯শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে এর মধ্যে ৯৩ জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। অকৃতকার্য নেই।

দুপুরে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই চলছে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা আনন্দ উল্লাস। এদিন তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের এসে সহপাঠীদের সঙ্গে আনন্দ উল্লাস করতে দেখা যায়। তবে জিপিএ ৫ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ টা ছিল কম।

জানাযায়, সুনামগঞ্জ জেলায় ২৩ হাজার ৪৭৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৮ হাজার ৬০৯ জন। জেলায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১০ হাজার ২১৬ জন ছেলের মধ্যে পাস করেছে ৮০০৫ জন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মেয়ে ১৩ হাজার ২৬৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ১০ হাজার ৬০৪ জন। আর জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত ৯৬৮ জনের মধ্যে ছেলে ৪০১ এবং মেয়ে ৫৬১ জন। জেলায় ছেলেদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৩৬ এবং মেয়ে ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৫ পাওয়া প্রতিক রায় জানান,এবার জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গৌরব অর্জন করেছে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর আমিও জিপিএ ৫ পেয়েছি আমি খুবেই খুশি।

আরেক শিক্ষার্থী মোঃ শামশুল হুদা অসীম জানান,আমিই শ্রেষ্ঠ জুবলীয়ান আমার বিদ্যালয় ২০১৮ সালের পর এবার রেকর্ড সংখ্যক জিপিএ ৫ পেয়েছে। আমিও জিপিএ ৫ পেয়েছি আমি আমার স্যার কাছে কৃতজ্ঞ স্যারদের প্রচেষ্টা ও গুরুত্ব সহকারে আমাদের দূর্যোগের পরবর্তী সময়ে ক্লাস ও আমাদের পড়া শুনার প্রতি খেয়াল রাখায়।

সারিয়ার আহমেদ নাহিদ জানান, সারা বিশ্বে মহামারি করোনা কালিন সময়ে লেখাপড়া একবারেই বন্ধ ছিল এর মধ্যে বন্যায় সব কিছু এলোমেলো করেদিয়েছিল। এর পরও আমাদের শিক্ষকগন আমাদের প্রচুর সময় দিয়েছেন আর আমরা সেই সময় টুকু পড়াশোনা করেছি। যার ফলাফল আমরা ভাল ফলাফল করেছি।

সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনসুর রহমান খান জানান, আমি ও আমার প্রতিটি শিক্ষক করোনা ও বন্যার দূর্ভোগ কাটিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করিয়েছি। অনেক শিক্ষার্থী করোনা ও বন্যায় লেখা পড়া বন্ধ করেছিল। তাদের কে পরিবর্তিতে স্কুলে এনে পড়া শোনা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এবং শিক্ষার্থীরাও আমাদের সাজেশন মেনে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করায় আমরা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গৌরব অর্জন করেছি খুব ভাল লাগছে। সকল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এর পেছনে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আগামী তে কি ভাবে আরও ভাল ফলাফল করে প্রাচীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখা যায় তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: