ফিলিপাইনে পরিবারের চাপে ‘অনৈতিক কাজে’ বাধ্য হচ্ছে শিশুরা

বর্তমানে ফিলিপাইনে মহামারিতে রূপ নিয়েছে ‘শিশু যৌন নিপীড়ন’।এর ফলে এক প্রকার ভীতিকর পরিবেশের মধ্য দিয়েই ক্রমাগত বড় হচ্ছে শিশুরা। ফিলিপাইন ইতিমধ্যেই শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী হটস্পট হয়ে উঠেছে।দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে যৌন নির্যাতনের ঘটনা। সেখানকার শিশুদের সরাসরি যৌনকর্মে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এছাড়া ফিলিপাইনের মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন পশ্চিমা বেশির ভাগ দেশ জেগে থাকে। সেই সময়েই এসব ‘লাইভ সেক্স শো’ বানানো হয় বলে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
আমরা অনেকেই মনে করি শুধু নারীরাই যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হয়। তবে বিবিসি জানায়, ফিলিপাইনে পরিবারের চাপেই শিশুরা এসব কাজে বাধ্য হচ্ছে। তারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। সাত বছর বয়সী এক শিশুর সঙ্গে কথা বলে বিবিসি জানায়, ওই শিশুসহ তার অন্য ভাই-বোনদের ‘লাইভ সেক্স শোতে’ বাধ্য করতেন তাদের মা। তাদের বাবা, চাচা ও চাচিও এসবের অংশ ছিলেন। একপর্যায়ের শিশুদের বাবা স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।যৌন নির্যাতন কী, তা জানেন না ‘গ্রামের অনেক শিক্ষক’যৌন নির্যাতন কী, তা জানেন না ‘গ্রামের অনেক শিক্ষক’।
তদন্তকারীরা আরো জানান, ওই পরিবারের অ্যাকাউন্টে যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড থেকে টাকা এসেছে। এ ঘটনার কয়েক মাস পর ওই শিশুদের ঠাঁই হয় প্রিডা নামের এক দাতব্য সংস্থায়। সংস্থাটি যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের সহায়তায় কাজ করে।১৭ বছর ধরে প্রিডায় কাজ করেন মিসেস বাল্ডো। তিনি বলেন, ফিলিপাইনে যৌন নির্যাতনের এসব ঘটনা ক্রমেই ‘স্বাভাবিক’ হয়ে উঠছে এবং দেশের অন্যান্য দরিদ্র শ্রেণির বাসিন্দাদের মাঝেও এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দারিদ্র্য, উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং ইংরেজি ভাষায় নির্দেশাবলি গ্রহণের সক্ষমতা—এই তিন কারণে ফিলিপাইনে ‘লাইভ সেক্স শো’ ফুলেফেঁপে উঠছে। এমনকি এটি দিনদিন বিলিয়ন ডলারের শিল্পে পরিণত হচ্ছে। মূলত করোনা মহামারির দুই বছরেরও বেশি সময় সব বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বন্দী ছিল। ওই সময়ই এসব ঘটনা বেশি ঘটে। বাড়িতে বন্দী থাকা শিশুদের দিয়ে পরিবারগুলো তখন নগদ অর্থ কামাতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
এছাড়া সম্প্রতি ইউনিসেফ ও সেভ দ্য চিলড্রেনের একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষার অনুমানে বলা হয়, ফিলিপাইনের প্রায় পাঁচ শিশুর মধ্যে অন্তত একজন যৌন নির্যাতনের ঝুঁকিতে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার প্রায় ২০ লাখ শিশু।অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণা ক্যাম্পে যৌন হয়রানির শিকার নারীরা অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণা ক্যাম্পে যৌন হয়রানির শিকার নারীরাইউনিসেফের বিশেষ দূত নিকি প্রিটো-তেওডোরো বলেছেন, ফিলিপাইনে এ সংক্রান্ত ঘটনা চলতি বছর ২৮০ শতাংশ বেড়েছে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোস শিশু যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করলেও তাঁর কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
রেজানুল/সা.এ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: