বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীল নকশা করেছিলো জিয়াউর রহমান: কাদের

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০৫:৫১ পিএম

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার নীশ নকশা করেছিলো খুনি জিয়াউর রহমান। পরে তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকেরই মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়ে গেছে। বিদেশে যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে একদিন তাদের যে দন্ড সে দন্ডও কার্যকর করা হবে ইনশাআল্লাহ।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালী নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির মসহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ফখরুল সাহেবরা আজকে অপপ্রচার করছে। তারা ষড়যন্ত্র করবে আমরা কাজ করে যাবো। আমরা মানুষের পাশে থাকব।

সেতুমন্ত্রী আরোও বলেন, আজকে জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে চোখের পলকে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। খন্দকার মোশতাক পলাশীর মির্জাফর। পলাশীর সেনাপতি লতিফ আর বাংলাদেশের সেনাপতি জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকলে আরেকটি খুনি চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার দুঃসাহস পেত বলে আমি মনে করিনা। ইতিহাস বড়ই নির্মম। বাঁচতে পারেনি জেনারেল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর দু'কন্যা শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানাকে এতিম করেছে যে বুলেট। সে বুলেট বেগম খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। বিশ্বাস ঘাতকতার পরিণতি ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা। ইতিহাস কোন স্বৈরাচারী প্রভুর রক্ত চক্ষু পরোয়া করেনা। ইতিহাসের আদালতের বিচারে কেউই রক্ষা পাবেনা।

সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায়না। মুজিব কোট খুনি খন্দকার মোশতাক ও পরেছে। ৭৫ এর সেই বিশ্বাস ঘাতকরা। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। আমার বার্তা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা বঙ্গবন্ধুর কন্যার বার্তা। আওয়ামী লীগকে আরো ঐক্যবন্ধ আরো সংঘঠিত আরো সুশৃঙ্খল করতে হবে। নোয়াখালী আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর দুর্গ ছিলো। এখন এটাকে শেখ হাসিনার শক্তিশালী দুর্গে পরিণত করতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন, রাজনীতি একদিনের ব্যাপার নয়। এক বছর কয়েক বছরের ও ব্যাপার নয়। নোয়াখালীতে আমি আর বিভেদ দেখতে চাইনা। ক্ষমা করার উদারতা আমার আছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ এতো দিনেও স্বাধীন হতো কিনা সন্দেহ আছে। মহান আল্লাহ পাক বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে জন্ম দিয়ে ছিলেন। আর মুক্তির জন্য জন্ম দিয়েছেন শেখ হাসিনাকে। একজন স্বাধীনতার জন্য আরেক জন মুক্তির জন্য। আমাদের মুক্তির সংগ্রামের অসীম সাহসী কান্ডারী শেখ হাসিনা।

নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বাবুলের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ. এইচ. এম খায়রুল আনম সেলিম, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরন, যুগ্ম-আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন ও মেয়র শহীদুল্লাহ খাঁন সোহেলসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: