প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

ইয়ানুর রহমান

যশোর প্রতিনিধি

শার্শার নাভারনে তুলি সিনেমা হলে চলেছ মাদক ও নারী দেহের ব্যবসা

   
প্রকাশিত: ১১:১৪ অপরাহ্ণ, ৩০ নভেম্বর ২০২২

যশোরের শার্শার নাভারন-সাতক্ষীরা সড়কের আনসার ক্যাম্প এলাকায় তুলি সিনেমা হলের আড়ালে মাদক ও দেহের রমরমা ব্যবসা কারবার চললেও প্রশাসন একেবারেই নির্বিকার। এদিকে এলাকার যুবসমাজ এর প্রতিবাদ করলেই পুলিশের ধমকানি ও মামলার ভয়ে গুটিয়ে যায় তারা। সব কিছু জেনেও পুলিশ ও প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সীমান্ত উপজেলা শার্শায় পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে মাদক কারবারিদের দাপটকিছুটা কম হলেও নাভারনের তুলি সিনেমা হলের অভ্যন্তরে মাদক ও উঠতি বয়সের
নারীদের দিয়ে দেহের ব্যবসা চলছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। বর্তমানে মাদক কারবারিরা তুলি সিনেমা হলকেই বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে। সিনেমা হলের
আড়ালে মাদক দ্রব্য ও নারী দেহে ব্যবসা মেলে খুব সহজেই। এ এলাকায় মাদককারবারিদের এই সক্রিয়তা স্থানীয় বাসিন্দাদের রীতিমতো উদ্বেগে ফেলেছে।রাতারাতি বড়লোক হওযার লোভে এলাকার যুবসমাজের একাংশ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে। পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য নিয়মিত হফতা আদায় করে চলেছেন বলে
অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। দীর্ঘদিন ধরে এ স্পটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে যশোর জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জয়নাল সরদার ও তার পুত্র
বাপ্পি সরদার। যাদের নামে ডর্জন খানেক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। পুলিশের হাতে তারা বারবার আটক হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো একই কারকার
চালিয়ে যাচ্ছে তারা। জয়নাল সরদার দীর্ঘ ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। তার নামে ইয়াবা, ফেন্সিডিলেরসহ রয়েছে শার্শা
থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১৫টিরও বেশি মাদক ও অস্ত্র মামল। এলাকাবাসী তাকে মাদক জয়নাল নামে চেনে। তার বিভিন্ন স্পটে মাদক মিললেও অধিকাংশ সময় পুলিশ
তাকে আটক করতে পারেনি। প্রায় ১ যুগ আগে সে র‌্যাবের হাতে মাদকসহ আটক হলেও পুলিশ তার টিকিটিও ছুতে সক্ষম হয়না।

শার্শা থানায় বর্তমান ইনচার্জ হিসাবে যোগদানের পরপরই জয়নাল সরদারকে আটক করে শার্শা বাসিকে চমক দেখায়। পরে জামিনে এসে আবারো একই কারবার বহাল রেখেছে। এ কারবারের সুত্রে সে গড়ে তুলেছে অঢেল সম্পদ। তার মধ্যে অন্যতম তুলি সিনেমা হল। এদিকে একই কারবারে জড়িয়ে পড়েছে জয়নাল সরদারের ছেলে বাপ্পি সরদার। এরই মধ্যে প্রায় ডজনখানেক মাদক ও অস্ত্র মামলায় জড়িয়েছে সে। তার মাদক ও দেহে ব্যবসা কারবার চলছে তুলি সিনেমা হল অভ্যন্তরে।

এলাকাবাসির অভিযোগ, সে দীর্ঘদন ধরে তুলি সিনেমা হল অভ্যন্তরে একারবার চালিয়ে গেলেও পুলিশ প্রশাসন রয়েছে একেবারেই নির্বিকার। খদ্দের সহ নারী
দেহ ব্যবসায়ীদের আটক করলেও পুলিশ এসে তাদের ছেড়ে দেয়। স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর সামনে নারী দেহ ব্যবসায়ীরা শিকার করেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে
তুলি সিনেমা হল অভ্যন্তরে এ কারবার চালিয়ে আসছে। তাদেরকে বাপ্পি সরদার ও সোহান নামের দুই ব্যক্তি ডেকে আনে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ মামুন খান বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। এলাকাবাসি অভিযোগ দিলেই আমরা ব্যবস্থ্যা নিব। মাদক
ও নারী দেহ ব্যবসার কোন ছাড় নেই।

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: