নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি বন্ধের দাবিতে নেত্রকোনায় মানববন্ধন

বিড়িতে শুল্ক কমিয়ে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও কাস্টমস অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে নেত্রকোনা জেলা বিড়ি মালিক সমিতি ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম বরাবর পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

শ্রমিকদের অন্য দাবিগুলো হলো- যাচাই-বাছাই ছাড়াই (অনলাইন) লাইসেন্সসহ রাজস্ব ফাঁকি দেয়া নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত ও নকল বিড়ি বন্ধ, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ এবং সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করা। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম.কে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সমাজের অসংখ্য সুবিধা বঞ্চিত মানুষ বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে কমদামে বিড়ি বিক্রি করছেন। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এছাড়া সিগারেটে অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ হলেও বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বিড়িতে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। বিড়ির ওপর এ বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সিগারেটের মূল্য বাড়াতে হবে।