পীরগাছায় আব্দুর রউফ খাঁনকে প্রতিবন্ধকতা দমাতে পারেনি

আব্দুর রউফ খাঁন এক সময় দুপায়ে ভর দিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতেন। ৮ বছর আগে পাওয়ার টিলারে জমি চাষ করতে গিয়ে এক পা হারান তিনি। এক পা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন আব্দুর রউফ খাঁন। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে এক পা দিয়ে আজ অটো রিকসা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করেন তিনি। বাবা-মা, ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার তার।
সমাজে কারো কাছে নির্ভরশীল না হয়ে আত্মনির্ভরশীলতার ব্রত নিয়ে এক পা দিয়ে ভাড়ায় অটো রিকসা চালিয়ে ঢাকা শহরের অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন আব্দুর রউফ খাঁন। কথাগুলো বলা হয়েছে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের বিরবিরিয়া গ্রামের আফছার আলী খাঁনের ছেলে আব্দুর রউফ খাঁনের।
আজ থেকে ৮বছর আগে কর্মঠ আব্দুর রউফ ওই এলাকায় ট্রাক্টর মেশিন দিয়ে অন্যের জমি চাষ করতে গিয়ে অনাকাঙ্খিতভাবে মেশিনের নিচে পড়ে এক পা হারান। কারো উপর নির্ভরশীল না হয়ে ঢাকা শহরে যান কর্মের সন্ধানে। সেখানে ভাড়ায় অটো রিকসা চালিয়ে বাবা-মা, ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীর ভরণপোষণ করেন। তার সাথে কথায় হয় পীরগাছা উপজেলার চত্তরে।
এসময় তিনি এক পায়ে বাইসাইকেল চালিয়ে তার নিজ নামীয় সুবর্ণ নাগরিকের প্রতিবন্ধী ভাতা এর কার্ড নিতে এসেছিলেন। তিনি জানান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তাকে প্রতিবন্ধী ভাতা এর কার্ড দিলেন। এক পা দিয়ে অটো রিকসা চালাতে তার কোন সমস্যা হয় কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমস্যা হয়। তবুও রিকসা চালাতে হয়। আর ঢাকা শহরে কিছু পুলিশ আমি প্রতিবন্ধী জেনেও আমাকে হয়রানি করে, চাঁদা দাবি করে। চাঁদা ছাড়া রিকসা চালাতে দেয়না। নিরুপায় হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিয়ে হয়।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এনামুল হক বলেন, আব্দুর রউফ খাঁন আমাদের দৃষ্টান্ত। একজন আদর্শ ব্যক্তি। অনেক সবল লোক চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভোগেন। কিন্তু তিনি এক পা হারিয়েও নিজে কর্ম করছেন। তিনি আমাদের সমাজসেবা অফিসের একজন নিয়মিত ভাতাভোগী।
সালাউদ্দিন/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য: