বাসের পর এবার রাজশাহীতে বন্ধ তিন চাকার যানও

রাত পোহালেই বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন। দুদিন আগ থেকে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। তবে এবার রাজশাহীতে নতুনকে শুরু হয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও থ্রিহুইলারের ধর্মঘট। আজ সকাল থেকেই সড়কে অবাধ চলাচল ও হয়রানিমুক্ত রেজিস্ট্রেশনের দাবিতে রাজশাহীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলছে এ ধর্মঘট।

বাস বন্ধের পর তিন চাকার গাড়ি একমাত্র যান ছিলো। ভোর থেকে সেসব যান চলাল করতে পারছেন। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে তার সংখ্যা একেবারে কমে এসেছে। ফলে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে রাজশাহী। এখন একমাত্র ট্রেনই যোগাযোগের মাধ্যম। সব পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বেশ বেকায়দায় পড়েছে যাত্রীরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকদের হেঁটে রাজশাহী নগরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এদিকে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হেঁটে আসছেন নেতাকর্মীরা

এদিকে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আব্দুর রহিম নামের এক যুবক হেঁটে যাচ্ছেন। তিনি জানান, সব গাড়ি বন্ধ,যেনো আমরা সমাবেশে যেতে না পারি। প্রায় ৩৫ কিলোমিটার হেঁটে রাজশাহীতে এসেছি। এখনো হাঁটছি। হয়তো আর কিছুক্ষণের মধ্যে সমাবেশস্থলে পৌঁছাবো।

বিএনপির এক নেতার সাথে কথা হলে জানান, আমাদের বিভাগীয় সমাবেশে জেনো লোক আসতে না পারে এর জন্য সকল পরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করতে হেঁটে হেঁটে কর্মীরা আসতেছে। আওয়ামী লীগ সরকার যতই বাড়াবাড়ি করুক, ক্ষমতা এবার ছাড়তেই হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে আমাদের কর্মসূচি থামবে।

সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন ভুলু বলেন, বিএনপির সমাবেশের সাথে আমাদের ধর্মঘটের কোনো সর্ম্পক নেই। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছি। কারণ আমাদের লাইসেন্স পেতে কেন ভোগান্তি হবে। প্রধান প্রধান সড়ক বাদে সব সড়কেই চলাচলে অনুমতি আছে। তবে কেন আমাদের হয়রানি করা হবে। লাইসেন্স ও হয়রানি মুক্তির দাবিতে ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছি।

প্রসঙ্গত, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের প্রত্যেক বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি।

চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লার পর ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ করবে দলটি। রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে সমাবেশের আয়োজন চলছে। এটি বিএনপির নবম বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।