বিয়েবাড়িতে সংঘর্ষে কনের দাদি নিহত, বরসহ কারাগারে ১২

বিয়ে বাড়িতে গহনা নিয়ে বর ও কনের পক্ষের সাথে সংঘর্ষে কনের দাদি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায বরসহ ১২ জনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটায় ঘটনাটি ঘটেছে । এর আগে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের গোলের হাট গ্রামে কনের বাড়িতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা এলাকার গোলেরহাট গ্রামের নূর জামাল ইসলামের মেয়ে জেসমিন আকতারের সঙ্গে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের ঘুন্টিঘর এলাকার আলীফ উদ্দিনের ছেলে রাইসুল ইসলাম রিপনের বিয়ে ঠিক হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে বরযাত্রী কনের বাড়িতে খাওয়া শেষে কনে সাজাতে গিয়ে বর পক্ষের দেওয়া গহনা নিয়ে দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কনের দাদিসহ কনেপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এরমধ্যে গুরতর আহত অবস্থায় কনের দাদি তহুরন নেছাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে কচাকাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বরসহ ১২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

কনে জেসমিন আকতার জানান, আমার চোখের সামনে আমার দাদিকে খাটের স্টান্ড দিয়ে পিটিয়েছে বরের লোকজন। আমি এর বিচার চাই। খুনিদের ফাঁসি চাই। কনের মা

রুপালী পারভীন জানান, বর পক্ষ যে পরিমাণ সোনার গহনা দেয়ার কথা ছিল তা নিয়ে আসেনি । কনে সাজানোর সময় গহনা নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে ঝগড়া বাধে। পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় আমার শাশুড়িকে তারা মারপিট করলে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

খবর পেয়ে রাতেই কচাকাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বরসহ ১২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।