কুবিসাস নিয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:২৭ পিএম

বর্তমান যুগে সবচেয়ে তথ্য নির্ভর ও কলম যোদ্ধা পেশা হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা। ঠিক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একঝাঁক মেধাবী তরুণ শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর কয়েকজন তরুণ সংবাদকর্মীর হাত ধরে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস)। বর্তমানে সংগঠনটিতে প্রায় অর্ধশত সংবাদকর্মী রয়েছেন যারা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।

একই সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচয় করিয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ সংগঠনটির সদস্যরা সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে লেখনীর মাধ্যমে অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান জানান দিয়েছেন। দিনদিন কলমের সেই ধার আরও শাণিত হচ্ছে। কুবিসাস সদস্যরা একদিকে যেমন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সাফল্য, গবেষণা, তারুণ্য ও শিক্ষার মান নিয়ে কাজ করে তেমনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটা বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি নিয়ে কাজ করে আসছে। এই লালমাটির এই ক্যাম্পাসে কিছু উদ্যমী কলম যোদ্ধাদের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে নানা প্রতিকূলতা ভেদ করে সংগঠনটি গত ৬ ডিসেম্বর ১০ বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই সংগঠন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অভাব ও সমস্যা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে লিখছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক তরুণ সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহীন আলম।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আল নাঈম বলেন, সাংবাদিকরা হলো একটি রাষ্টের দর্পন, তেমনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দর্পন হিসেবে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম দেখছি প্রায় ছয় বছর ধরে। সারাদেশে আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসকে গণমাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনায় সবসময় সোচ্চার ভূমিকা রেখেছে কুবিসাস। সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার এই কার্যক্রম সবসময় চলমান থাকবে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই আমার প্রত্যাশা।

কুবির সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি আমান উল্লাহ সংবাদ পরিবেশনে নিরপেক্ষতা নিয়ে বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস) ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সমিতির সঙ্গে জড়িত সকল সংবাদ কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস) নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে সব সময় সত্যকে তুলে ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। সংবাদ পরিবেশনে যেমন সততা তেমন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার দ্বার উন্মোচন করেছে। সকল ধরনের অন্যায়, অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কুবিসাস সব সময় সোচ্চার ছিল। সব সময় ন্যায় এবং সততার সাথে কুবিসাস কাজ করে আসছেন। ভবিষ্যতে কুবিসাস তার এই সাংবাদিকতার দ্বার বজায় রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সত্য ও ন্যায়ের পথে সাংবাদিক সমিতি অটল থাকুক এটাই আমার প্রত্যাশা।

রক্ত সংগঠন 'বন্ধু' সভাপতি আব্দুল হিল মারুফ জানান, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রকমের সংগঠন থাকে-মানবিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক। তবে এসব সংগঠন থেকে সাংবাদিক সমিতি একটু অন্য ধারায়। কারণ, সাংবাদিক সমিতি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের খবরা খবর তুলে ধরে সারাদেশে মানুষের মাঝে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের একটি সংগঠন কুবিসাস। এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছে। কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষায়। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের নানা সংকট ও অসঙ্গতির বিষয়ও তুলে ধরেছে বস্তুনিষ্ঠভাবে। একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনে প্রতিনিধি হিসেবে আমি বিশ্বাস রাখি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি সংবাদের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতার গুণটি ধরে রাখবে৷

সাংস্কৃতিক সংগঠন থিয়েটারের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস) এর ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এই ক্যাম্পাসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। দূর্নীতি এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কুবিসাস সব সময় সোচ্চার। একজন থিয়েটার কর্মী হিসেবে কুবিসাসের প্রতি এটাই প্রত্যাশা থাকবে যে, কুবিসাস সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকবে এবং নিজেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্পন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।

২০১৩ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা হলেও মূলত আত্মপ্রকাশ করে ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে। সংগঠনটি সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সংগঠনের অধিকার থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসে সকল অনিয়ম, দূর্নীতি ও অপকর্মগুলোকে দেশ ও দশের সামনে কলমের লিখনির মাধ্যমে জাতিকে সজাগ করছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: