হাসপাতালে কয়েদির মৃত্যু, সাংবাদিকদের ছবি তুলতে কারারক্ষীদের বাঁধা

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০২:৪৫ পিএম

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে সোলায়মান আলী (৫৫) নামে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোলায়মানের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা সুন্দরদিঘী এলাকায়। সে ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম ভূইয়া বুধবার ভোরে তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

বর্তমানে সোলায়মান আলীর মরদেহ হাসপাতালের পর্যবেক্ষন কক্ষে কারা পুলিশ প্রহারায় রয়েছে। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর জমি সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার মামলায় সোলেমানের এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয় আদালত। পরে ওইদিনই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সোলায়মানকে পঞ্চগড়ে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। এ সময় সোলায়মান জেলগেটেই অসুস্থ্যবোধ করলে কারাগারের চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

এদিকে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা বেলা ১১ টার দিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে মৃত্যুর তথ্য নিতে যায়। এ সময় হাসপাতালে পর্যবেক্ষন কক্ষে প্রবেশে বাধা দেয় এবং মৃতের ছবি তুলতে নিষেধ করেন প্রহারায় নিয়োজিত তিনজন কারা পুলিশ। প্রহারায় নিয়োজিত পুলিশরা হচ্ছেন খালিদ, আসাদুজ্জামান এবং সিহাব। কেন ছবি তোলা যাবেনা এমন প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন জেল সুপার বদরুদ্দোজা সারের সাথে আপনারা কথা বলেন। উনি নির্দেশনা দিয়েছেন এখানে যাতে কেউ লাশের ছবি না তুলেন।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তৌহিদুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আগে থেকেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। সে মাদকাসক্তও ছিলো। তার হৃদরোগের অবস্থার সাথে কিছু জরুরি সেবা দরকার যেটি আমাদের হাসপাতালে ছিলো না।

পঞ্চগড় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার খন্দকার মামুন বলেন, তাকে আদালত থেকে কারাফটকে আনার পরেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আমরা তাকে পঞ্চগড় আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। দুইদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর আজ মারা যান তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: