সমর্থকদের উদ্দেশে হৃদয় নিংড়ানো বার্তা দিলেন মেসি

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৩৪ এএম

তিন দশক ধরে একটা স্বপ্ন দেখেছেন লিওনেল মেসি। সেই শৈশবের ক্লাব গ্রানডলিতে খেলার সময় থেকে। সালটা ১৯৯২। যখন থেকে তার ফুটবল দীক্ষা শুরু। যখন তিনি জানতেনও না পেশাদার ফুটবলার হবেন কিনা। তখন থেকেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখেছেন তিনি।

লিও মেসি হেরে গেছেন, লিও মেসি হতাশ হয়েছেন, লিও মেসি কেঁদেছেন। তিনি হতাশা আর আবেগের কারণে ২০১৬ সালে জাতীয় দলকে বিদায়ও বলেছিলেন। কিন্তু স্বপ্ন তার পিছু ছাড়েনি। তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেয়ার। জানতেন, স্বপ্ন সত্যি নাও হতে পারে। কিন্তু স্বপ্ন দেখা থামাননি।

স্বপ্ন জয় করে মেসি যেন ঘোরের মধ্যেই আছেন। ইনস্টাগ্রামে তার শিরোপা উচিয়ে ধরার ছবি দিয়েছেন। বিমানে তার শিরোপা কোলে বসে থাকার ছবি ছেড়েছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে শিরোপা জড়িয়ে ঘুমানোর ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘শুভ সকাল।’ এবার সামাজিক মাধ্যমে আরও একটি হৃদয় জয় করা পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

মেসি লিখেছেন, ‘গ্রানডলি থেকে কাতার বিশ্বকাপ প্রায় ৩০ বছর কেটে গেছে। বল পায়ে তিন দশকের কাছাকাছি। যে বল আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে, আবার কিছু দুঃখও দিয়েছে। কিন্তু আমি সবসময় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি এবং আমি হাল ছাড়িনি। এই স্বপ্ন কোনদিন সত্যি নাও হতে পারে, এটা জেনেও লড়েছি।’

মেসির মতে, এই শিরোপা শুধু তার নয়, তার সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে খেলা খেলোয়াড়দের নয়। যারা সেই ১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করেছেন। যারা ২০১৪ বিশ্বকাপে শেষ মিনিট পর্যন্ত সর্বোচ্চটা দিয়ে শিরোপা ঘরে তোলার চেষ্টা করেছেন তাদের সবার।

তিনি লিখেছেন, এই যে বিশ্বকাপ যা আমরা জিতলাম এটা ২০১৪ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে খেলা ফুটবলারদের মতো পূর্বের আসরগুলোতে যারা শিরোপার জন্য খেলেছেন এবং জয়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন কিন্তু পারেননি, এটা তাদেরও শিরোপা। যারা আমার মতো এটা জিততে চেয়েছিলেন এবং কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন।

গুরু ম্যারাডোনাকে স্মরণ করে মেসি বলেছেন, স্বর্গ থেকে ম্যারাডোনা আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। তেমনি জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলে ফলের দিতে অতোটা না তাকিয়ে আমাদের সমর্থন জুগিয়ে গেছেন। কিছু সময় গেছে যখন সবকিছু প্রত্যাশা মতো যায়নি, তবু তারা পাশে থেকেছেন।

সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে মেসি লিখেছেন, আমরা অসাধারণ এই দলটা গঠন করতে পেরেছিলাম, দারুণ কোচিং স্টাফ পেয়েছিলাম, যাদের সঙ্গে জাতীয় দলের অন্যরা স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে গেছেন। এই যাত্রায় অনেকবার আমরা ব্যর্থ হয়েছি, আমরা শিখেছি এবং ওই হতাশা ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব হয়নি। হৃদয় থেকে সকলকে ধন্যবাদ। ভামোস আর্জেন্টিনা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: