ঢাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী পেটানোর অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে মেরে জখম করার অভিযোগ উঠছে ওই হলের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী রিদওয়ানুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনে সমাজকল্যাণ বিভাগে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত এবং অন্যদিকে অভিযুক্ত রাকিবুল হাসান নূর ২০১৮-১৯ সেশনে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং গত ২৬ আগস্ট ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটিতে বিজয় একাত্তর হলের আইন উপ-সম্পাদক মনোনীত হন।

জানা গেছে, গেল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) হলটির যমুনা ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী বলেন, আমি বুধবার হলের পাঠকক্ষে পড়াশোনা শেষ করে লিফটে উঠছিলাম। তখন আমার ব্যাগ তাঁর মুঠোফোনে লেগেছে, এমন অভিযোগ তুলে রাকিবুল ইসলাম লিফটের সামনেই উচ্চবাচ্য করেন। সবার সামনে তিনি আমার পরিহিত হুডি টেনে আমাকে লিফটের বাইরে নিয়ে যেতে চাইছিলেন। পরে তিনি আমার পিছু নেন। আমি তৎক্ষণাৎ আমার ফ্লোরের এক বড় ভাইয়ের কক্ষে অবস্থান নিই। এর মধ্যে তিনি আমার সঙ্গে আরও চড়া গলায় অশ্রাব্য গালি দিয়ে আমার দিকে ধেয়ে আসেন।

তিনি আরো বলেন, একপর্যায়ে তিনি আমার মুখের ডান পাশে আঘাত করেন। একই সঙ্গে তিনি আমার শরীরে লাথি দেন। আঘাতে আমি চেতনা হারাই। পরে বন্ধুরা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমি রাকিবুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রিদওয়ানুলের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে৷ ঘটনাটি ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। আমি কাউকে আঘাত করিনি। ধাক্কাধাক্কির কারণে আমার হাতেও তাঁর নখের আঁচড় আছে। মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজয় একাত্তর হল প্রাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছিরের বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগপত্রও হাতে পেয়েছি। এর সত্যতা যাচাইয়ের পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।