মেসির জন্য হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে পথে নেমেছেন তাম্মাত

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:১৯ পিএম

সারাবিশ্বে মেসির অসংখ্য ভক্তের মাঝে একজন তাম্মাত বিল খয়ের (২৩)।  এছাড়া ছোট থেকেই আর্জেন্টিনার সমর্থক তিনি। এবারে কাতার বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতেছে আর্জেন্টিনা যা ছিল সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসির ক্যারিয়ারের এক হাজার তিনতম ম্যাচ। এ বিশ্বকাপে পুরো টুর্নামেন্টে নৈপুণ্য দেখিয়ে গোল্ডেন বলও জিতেছেন মেসি। আর্জেন্টিনা ও মেসিতে মুগ্ধ তাম্মাত।

তাই প্রিয় খেলোয়াড়ের এক হাজার তিনতম ম্যাচ জয় ও বিশ্বকাপের সব অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে সাইকেল চালিয়ে ১ হাজার ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে বের হয়েছেন এই মেসি ভক্ত। আর নিজের এই সাইকেলযাত্রা তিনি উৎসর্গ করেছেন লিওনেল মেসিকে। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনয়নের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় সাইকেল চালিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। প্রথম দিন শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ, কক্সবাজার হয়ে চকরিয়া পর্যন্ত ১৫৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন।

পরবর্তীতে দ্বিতীয় দিন চকরিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৮৬ দশমিক ৪ কিলোমিটার এবং তৃতীয় দিন পাড়ি দেন চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা হয়ে দাউদকান্দি পর্যন্ত ২০০ কিলোমিটার পথ।চতুর্থ দিন দাউদকান্দি থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার, পঞ্চম দিন ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ৯১ দশমিক ৪ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইল থেকে জামালপুর পর্যন্ত ৯৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। এ পর্যন্ত তার গন্তব্যের ৬৭৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন। আজ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে জামালপুর থেকে সুন্দরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি।

জানা যায়,পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেয়ামত আলী সিকদার ও গৃহিণী নুরজাহান বেগম দম্পতির ঘরে চট্টগ্রামে জন্ম নেন তাম্মাত বিল খয়ের। তার পৈত্রিক বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া। বর্তমানে তিনি ঢাকায় বসবাস করছেন এবং একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন।সাত ভাই ও এক বোনের মধ্যে তাম্মাত সবার ছোট। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সাইক্লিং দলের চুক্তিভিত্তিক একজন খেলোয়াড়।এর আগে তিনি ২০১৯ সালে ১৫ দিনে ৬৪ জেলা সাইকেলে ভ্রমন করেন। সে সময় ওই ভ্রমণে ভ্রমণে পাড়ি দিয়েছিলেন ৩ হাজার ৯৭০ কিলোমিটার। এর আগে তিনি ২০১৮ সালে ২৪ দিনে পায়ে হেঁটে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ভ্রমণ করেছিলেন।

এ মেসি ভক্ত জানান, এ যাত্রায় প্রিয় মেসিকে স্মরণে রাখার জন্য বের হয়েছি। পথে পথে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। ফুটবল যে এ দেশের সকল শ্রেণির মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা সেটা আমি বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি। প্রিয় খেলোয়াড় মেসির সমর্থকেরা উৎসাহ দিয়েছেন যাত্রাপথে। এদিকে এসে দেখছি প্রচন্ড কুয়াশা আর শীত পড়ছে। অনেক কষ্ট হচ্ছে তবুও মেসির ভালোবাসার কাছে আমার এই কষ্ট বিসর্জন দিয়ে যাত্রা সফল করে পহেলা জানুয়ারি পৌঁছে যাব বাংলাবান্ধার জিরো পয়েন্টে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: