বৈদ্যুতিক তারে পড়েছে জ্বলন্ত ফানুস, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫০ এএম

ইংরেজি বর্ষবরণ উপলেক্ষে গতরাতে ওড়ানো অনেক ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর এসে পড়েছে। দুর্ঘটনার রোধে মেট্রোরেল চলাচল দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ফানুস অপসারণের কাজ চলছে। রোববার (১ জানুয়ারি) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্ন্ত উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্ন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সময় মেট্রোরেলের ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার পথজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফানুস অপসারণ বন্ধ করা হচ্ছে।

ডিএমটিসিএলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গতরাতে উড়ানো অনেক ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর এসে পড়েছে। দুর্ঘটনার রোধে মেট্রোরেল চলাচল দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ফানুস অপসারণের কাজ চলছে।’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কবে বিবেক জাগ্রত হবে জানি না। ফানুস ওড়ানো বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও আমরা নিয়ম ভেঙে রাতে ফানুস ওড়ালাম এবং আতশবাজি ফাটালাম। ফানুসের ফলে মেট্রোরেলের বৈদ্যতিক তারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।’

ইংরেজি নতুন বছর বরণ করতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মিট দ্য প্রেসে নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোনো আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস ওড়ানো যাবে না।

ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের আয়োজন করার সুযোগ ছিল না। কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল মানুষের বাসাবাড়ির ছাদকেও। কিন্তু তাতে থামিয়ে রাখা যায়নি উদযাপনকে। আতশবাজি আর ফানুসে ভরপুর ছিল ঢাকার আকাশ।

রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ প্রায় অধিকাংশ ভবনের ছাদেই ছিল আতশবাজি আর ফানুস ওড়ানোর আয়োজন। অনেকে আবার ছাদে বারবিকিউ পার্টিসহ পারিবারিক নানা আয়োজন করেছে। রোববার (১ জানুয়ারি) প্রথম প্রহরেই রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় আতশবাজি ও ফানুস ওড়াতে দেখা গেছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: