ভেজাল সন্দেশের রমরমা ব্যবসা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কোমলমতি শিশুরা

প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০৯ পিএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবাধে তৈরি হচ্ছে ভেজাল সন্দেশ। লোভনীয় মোড়কে বিক্রি হচ্ছে পাড়া মহল্লার অলিতে-গলিতে। এসব ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বাজারজাত করায় চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কোমলমতি শিশুরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে নিজ বাড়ীতে “নৌশিন ছানার সন্দেশ” নামে এই কারখানা গড়ে তোলেন আবুল কাশেমের ছেলে মেহেদী হাসান লিংকন। বিভিন্ন মিষ্টির দোকান থেকে ফেলে দেওয়া পঁচা-বাসি মিষ্টির গাদ কম দামে কিনে ওই গাদে সোটা,রং,নিম্নমানের আটা মিশিয়ে চুলায় গরম করা হয়।

সেগুলো ষ্টিলের প্লেটে ঢেলে কয়েক জন নারী-পুরুষ শ্রমিক দিয়ে ছোট ছোট খন্ড করে নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে এসব ভেজাল সন্দেশ। ওই কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের হাতে নেই কোনো গ্লাভস, ডোবা ও টয়লেটের মশা-মাছি ভনভন করছে সন্দেশ তৈরির উপকরণে। অবৈধ উপায়ে প্রক্রিয়াকরণ শেষে এসব ভেজাল সন্দেশ বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামগঞ্জের দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেদার চলছে অবৈধ সন্দেশ কারখানাটি।

ছবি: প্রতিনিধি

প্যাকেটের মোরকে ফলমূল, গাভীর ছবি ব্যবহার ও ছানার সন্দেশ লিখা থাকলেও দুধ বা ছানার ছিঁটেফোটাও ব্যবহার হয়না এসব সন্দেশ তৈরিতে। ইউনিয়ন পরিষদের একটি সীলবিহীন ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কারাখানা পরিচালনার অন্য কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই তাদের। মোড়কে উপাদান সম্পর্কে নেই কোন তথ্য যা নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ধারা ৩২ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অবৈধ সন্দেশ কারখানাটি বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কোন প্রশিক্ষন আছে কিনা জানতে চাইলে অবৈধ কারখানার ক্যমিষ্ট্র আবু রায়হান বলেন, এসব বানাতে কোন প্রশিক্ষন লাগে না। কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জায়গাতেই তো এমনভাবে তৈরী হচ্ছে।

উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর বেদেনা আক্তার বিডি২৪লাইভকে বলেন আমি এখন বিশ্বজিত ঘোষের দোকানে আছি,আমি এখানে বিভিন্ন লোকজনকে জিগ্গাস করে"নৌশিন ছানার সন্দেশ”নামে এমন কিছু পাওয়া গেছে না।তিনি আরও বলেন আমি চেষ্টা করতেছি কারখানাটি খোঁজে বের করার জন্য।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ জাহিদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, এসব খাবার খেয়ে শিশুরা ডায়রিয়া, কলেরা, পেট ব্যথা, এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এমন কি এসব খাবার খেয়ে শিশুদের কিডনিজনিত সমস্যা ও ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ হাফিজা জেসমিন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি, তদন্ত সাপেক্ষে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: