নুরের ছবিটি এডিট করা নয়: তন্ময় আহমেদ

প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:১৪ পিএম

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের সঙ্গে ইসরায়েলের একজন রাজনীতিকের ছবি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ছবি ঘিরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এছাড়া ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্যের সঙ্গে নুরের বৈঠকের অভিযোগ উঠেছে। ছবিটি প্রথম প্রকাশকারীদের একজন আওয়ামী লীগের ওয়েবটিমের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় ফেসবুকে একটি ভিডিওতে নানা যুক্তি তুলে ধরে দাবি করেছেন, ছবিটি এডিট করা নয়।

সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের ভিডিওতে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের ওয়েবটিমের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ বলেন, ‘এখানে থাকা দুই ব্যক্তি সাফাদি এবং নুর, কারও ছবিই প্রতিস্থাপন করা হয়নি। কেননা, ছবি প্রতিস্থাপন করা হলে যেই ব্যক্তির ছবি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তার শরীরের বাহিরের বর্ডার লাইনের সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি শতভাগ মিলে যাবে না। এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো চুল, সেটা পুরোপুরি মিলে যাচ্ছে। যা প্রমাণ করে এই ছবিটি এডিট করা নয়।’

পাশাপাশি নুরুল হক নুরের ছবি নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের নেতা তারেক রহমানের করা একটি লাইভের জবাব দেন তন্ময় আহমেদ। ‘ধরা খেয়ে গেল নুরের ইসরায়েলে সাথে কানেকশনের চেষ্টা’ শিরোনামে পোস্ট করা রেকর্ডেড লাইভে তন্ময় বলেন, ‘ভালো করে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়, ছবিটিতে বামপাশ থেকে সূর্যের আলো প্রথমে মেন্দি এন সাফাদির গায়ে পড়েছে এবং তার শরীরের ছায়া পড়েছে নুরের ওপর। এমনকি নুরের পায়ের জুতায়ও ছিল সূর্যের আলো। এভাবে এডিট করে আলো মিলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাদের উভয়ের দাঁড়ানোর ভঙ্গি। এ ক্ষেত্রে ছবিটিতে স্পষ্ট বোঝা যায়, উভয় দাঁড়িয়েছে পাশে কাউকে রেখে। ধরে নেওয়া হোক, এটি এডিট করা ছবি। সেক্ষেত্রে নুরকে বা সাফাদিকে যদি অন্যকারো ছবির ওপর প্রতিস্থাপন করা হয়, তাহলে এটি অসম্ভব যে একই দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং ভঙ্গিমায় হুবহু আরেক ছবি মিলবে যা এভাবে শতভাগ মিলে যাবে।’

তন্ময় আহমেদ আরও জানান, ‘আমরা যখন মোবাইলে ছবি তুলি, একাধিক মোবাইল থাকলে একেকজন একেকটি মোবাইলের দিকে তাকাই, এটি বড় কোনো বিষয় নয়। কিন্তু এই একটি ইস্যুকে নিয়ে ছবিটিকে এডিটেড বলে প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ছবিতে উভয়ের মধ্যখানের একটি লাইনের সঙ্গে বাকি ছবির কালারের মিল নেই বলে সমালোচনা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ছবিটিকে আরও জুম করে দেখতে হবে। দুই ব্যক্তির মাঝখানের অংশটি ফোকাস কম পায়, সেই সঙ্গে আলোও তুলনামূলকভাবে কম পায়।’

পাশাপাশি মেন্দি এন সাফাদির একটি ফেসবুক আইডিতে ১ জানুয়ারি দুবাইয়ে লাইভ করা হয় উল্লেখ করে তন্ময় আহমেদ বলেন, ‘নুর ও সাফাদি উভয়ই বছরের শুরুতে দুবাইয়ে ছিলেন। কোনো ক্যাপশন ছাড়া প্রকাশিত এই লাইভে দুবাইয়ে সাফাদি নতুন বছরের আয়োজন দেখছেন তা স্পষ্ট হয়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, এই একই সময় নুর এবং সাফাদি উভয়েই দুবাই অবস্থান করেছিলেন।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: