শরীয়তপুরের জাজিরার সবজি যাচ্ছে সুইজারল্যান্ডে

প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২১ পিএম

আসাদ গাজী, শরীয়তপুর থেকে: প্রথমবারের মতো শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মিরাশার বাজারের সবজি লাউ, কাচাঁমরিচ ও কচু রপ্তানি হচ্ছে সুইজারল্যান্ডে। বুধবার (৪ জানুআরি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় এমিরাতের ফ্লাইটে এই সবজির চালান সুইজারল্যান্ডে যাবে। বিএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে সবজিগুলো পাঠানো হচ্ছে। বিএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম কল্লোল তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জাজিরার উপজেলার মিরাশার বাজারে লাউ, কাঁচা মরিচ, কচু, আলু, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, টমেটো, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের, কীটনাশকমুক্ত সবজি পেয়েছি, যা খুবই মানসম্মত। প্রাথমিকভাবে প্রথম চালানের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে ৬৫ কেজি কাঁচা মরিচ, ৬৫টি কচু ও ২০টি লাউ সংগ্রহ করেছি। এই চালানটি ইউরোপের সুইজারল্যান্ডে পাঠানো হবে। সবজিগুলো রপ্তানি উপযোগী প্যাকেজিং করে বুধবার সকালে ঢাকা এয়ারপোর্টে পাঠানো হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের বাংলাদেশি কমিউনিটি এই সবজিগুলো বাজারজাত করবেন বলে জানান তিনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার সবজিগুলো রপ্তানির উপযোগী কি না তা পরীক্ষার জন্য স্থানীয়ভাবে মোড়কজাত করে ঢাকার শ্যামপুরে অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সেন্ট্রাল প্যাকেজিং হাউজে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা শেষে রপ্তানি উপযোগী প্যাকেজিং করা হয়।

রেজাউল ইসলাম কল্লোল আরও বলেন, ইতোমধ্যে সরকারি রপ্তানি নিয়ম সম্পন্ন হয়েছে এবং উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং থেকে সনদও নেওয়া হয়েছে। আমরা যদি সুইজারল্যান্ড থেকে ভালো সাড়া পাই তাহলে ইচ্ছে আছে, সুইডেন ও হংকংয়েও সবজি রপ্তানি করবো। লাউ, কাচামরিচ ও কচুর মতো আরও কিছু সবজি পরবর্তী রপ্তানিতে যুক্ত করবো।

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, শরীয়তপুরে ৮৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য আবাদ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সবজির চাষ হয় জাজিরা উপজেলায়। গত ২৯ ডিসেম্বর জাজিরায় নিরাপদ সবজি ও ফল রপ্তানিবিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন ও রপ্তানিকারকেরা ইউরোপে সবজি রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল জাজিরার মিরাশার চাষিবাজার থেকে সবজি ইউরোপে রপ্তানির জন্য জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসের কাছে সহযোগিতা চান।

তিনি আরও বলেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা প্রাথমিকভাবে চাষীদের কাছ থেকে ৬৫ কেজি কাঁচা মরিচ, ৬৫টি কচু ও ২০টি লাউ সংগ্রহ করি। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আমাদের জানিয়েছেন জাজিরা থেকে ঢাকার দূরত্ব কম হওয়ার কারণে পরিবহন খরচ কম পড়বে। তাই তারা নিয়মিত সবজি রপ্তানি করবেন।

প্রথম চালানে সুইজারল্যান্ড যাওয়া ৬৫ কেজি কাচামরিচ চাষী খোকন খালাসী বলেন, আমি সবসময় কীটনাশক ছাড়া সবজি চাষ করি। আমার ক্ষেতের কাচাঁমরিচ বিদেশে যাবে, এতে আমি খুবই খুশি। আমার প্রতিবেশী অন্যান্য কৃষক বন্ধুরাও আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: