ঘন কুয়াশায় ঢাকা পঞ্চগড়, বইছে মাঝারি শৈতপ্রবাহ জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩১ এএম

উত্তরের শীত প্রবন জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমে গিয়ে বইছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। জেঁকে বসেছে শীত। গতকাল সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চারদিক। গত দিনগুলোর তুলনায় আজ কুয়াশার পরিমান বেশি। বৃষ্টির মত পড়ছে কুয়াশা। এতে করে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। সকালে ও রাতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। শুধুমাত্র জিবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত কিছু মানুষ।

এরমধ্যেই জেলাটিতে তাপমাত্রা কমে গিয়ে ৬ ডিগ্রীর ঘরে নেমে এসেছে। সপ্তাহজুড়ে তাপমাত্রা ৬ থেকে ৭ ডিগ্রীতে উঠানামা করছে। তবে আজ বুধবার তাপমাত্রা গতদিনগুলোর তুলনায় সামান্য বেড়ে গেছে। বুধবার সকাল ছয়টায় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রী, সকাল নয়টায় তাপমাত্রা কমে গিয়ে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রী। দিনের বেলাতেও তাপমাত্রা কমে গিয়ে ২২ থেকে ২৩ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে সপ্তাহজুড়ে। জেলাটিতে কয়েকদিন ধরে মাঝে মাঝে বইছে উত্তরের হিমেল বাতাস।

এতে শীতের প্রকোপ বেড়ে যায়। সকালের দিকে ঘন কুয়াশার দেখা মিলে। তখন ফসলের মাঠ সহ চারদিক কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে। গ্রামাঞ্চল এবং নদী তিরবর্তি এলাকাগুলোতে কুয়াশা এবং শীতের তিব্রতা বেশি থাকে। সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয়। যখন হিমেল হাওয়া বয়ে যায় তখন মানুষের সাথে পশুপাখিরাও কাবু হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে শীতের কারনে জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা শীতজনীত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে বেডের তুলনায় তিন থেকে চারগুন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসছেন, এতে করে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে শীতের সাথে সাথে জেলার দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে কিছুটা দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। অপরদিকে শীত মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলার পাঁচ উপজেলায় দরিদ্র শিতার্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে ২২ হাজারেরও বেশি কম্বল বিতরন করা হয়েছে।

এদিকে তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেনী আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। শৈতপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকবে। মাঝারি থেকে তিব্র শৈত প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে এই জেলায়

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: