বালিশ চাপায় মেয়েকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৭ এএম

গাজীপুরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে শিশু কন্যাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পিতার বিরুদ্ধে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন সবুজ কানন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় চিরকুট লিখে ব্লেড খেয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত হলো, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার নন্দনপুর এলাকার মোঃ তরিকুল ইসলামের মেয়ে মোসাঃ তামান্না আক্তার (৮)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কাশিমপুর থানাধীন সবুজ কানন এলাকায় আজিজ মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতো তামান্না আক্তারের বাবা-মা। সেখানে থেকে তারা পোশাক কারখানায় চাকরী করতো। শনিবার দুপুরে তাদের ভাড়া বাসার কক্ষে তরিকুল ইসলাম তার মেয়ে তামান্না আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মেয়েকে হত্যার পর তরিকুল ইসলামও ব্লেড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তরিকুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

তামান্নার বড় মামা আব্দুল হালিম বলেন,আমরা জয়দেবপুরে রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। বিকেলে খবর পেয়ে এসে দেখি দুলাভাই ভাগ্নীকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছ বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। প্রতিবেশি শাহিনুর আলম বলেন,শুনেছি তরিকুল মোবাইলে অনলাইনে জুয়া খেলতো। জুয়া খেলার বিজয়টা মেয়ে দেখে ফেলায় তাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। নন্দনপুর গ্রামের স্থানীয় মেম্বার আমানুল্লাহ বলেন,তরিকুল আগে থেকেই মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলো। সে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ করতো। সম্ভবত মানসিক সমস্যার কারনেই এঘটনা ঘটিয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলতে ছিলো। পারিবারিক কলহের কারণেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: