শ্যামনগরে চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৪৯ পিএম

শ্যামনগরে দফায় দফায় চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩য় বারের মত শ্যামনগরে কৈখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক 'মিথ্যা মামলা' প্রত্যাহার ও আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবক সহ এলাকাবাসীরা।

রবিবার (২২ জানুয়ারী) বিকাল ৫ টায় কৈখালী ইউনিয়নের যাদবপুর বাজারের সহস্রাধিক মানুষের অংশগ্রহণে কৈখালী ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্যানেল চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম শাহীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের স্ত্রী রোখসানা পারভীন, ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ, শোমসের, রাশিদুল ইসলাম, রাবিয়া কাদের, তাসিম মনি, মাজিদা খাতুন ডলি, শাহানারা পারভীন, ইসমোতারা ডলি, মাহফুজুর রহমান, হুমায়ন কবিরসহ অর্ধশতাধিকেরও বেশি এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম কৈখালী এসআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তাকে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে চলেছেন। চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করা হয়। সে সময়ে কৈখালী এস আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন রেজাউল করিম। ওই নিয়োগে অর্ধকোটি টাকা বাণিজ্য হয়।

যেটা নিয়ে ওই সময়ে স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাছাড়া রেজাউল করিম বিদ্যালয়টির সভাপতি থাকাকালে স্কুলে অনিয়ম ও দূর্নীতিতে ভরে যায়। যার কারনে এবারের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ভোটারগন তাকে বয়কট করে।

চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের প্যানেল নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। বর্তমান কমিটি দায়িত্ব ভার গ্রহন করার পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুলের সম্পদের হিসাব ও অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল বাসারকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক আবুল বাসারকে কারন দর্শানোর নোটিশও করা হয়। ঘটনার একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার গত ৪ জানুয়ারী আত্মহত্যা করেন।

আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার অনেকদিন যাবত মানষিক দুশ্চিন্তার ভিতরে ছিলেন। যার কারনে সে নিজের পৈত্রিক বসতবাড়ি না থেকে তার শালীর বাসার পাশে অবস্থিত একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এছাড়া কারন দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার অনেক আগে এবং বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেয়ার আগে শিক্ষক আবুল বাশার কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

অথচ তিনি আত্মহত্যা করার পরে অহেতুক হয়রানী করার জন্য চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমসহ ৭ জনের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় ইতিমধ্যে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে তারা এখন জেলহাজতে আছেন। এ সময় হয়রানী মূলক ওই মামলা প্রত্যাহার ও আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানান বক্তারা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: