রুশ জাহাজ চীনে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ‘আই ডোন্ট নো’

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম

গণমাধ্যমে খবর এসেছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’ চীনের বন্দরের দিকে গিয়েছে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ড. আব্দুল মোমেন।

এ সময় মন্ত্রী কাছে সংবাদমাধ্যম কর্মীরা জানতে চান - রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাহাজের বিষয়ে আলাপ হয়েছে কি না এবং জাহাজটি চীনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস করতে পারবে কি না? জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমরা শুধু জানি— যেহেতু এটা নিষেধাজ্ঞার জাহাজ, সেজন্য আমরা আমাদের পোর্টে এলাউ করিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দ্যাটস দ্যা অনলি থিং আই নো। তারপর কোথায় গেল, না গেল আই ডোন্ট নো। বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে আইপিএস নিয়ে কোনো শঙ্কা বা আলোচনা হয়েছে কি না— জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, না। এ সম্পর্কে আলোচনা হয়নি।

বাংলাদেশ ও ভারতের বন্দরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস করতে পারেনি রাশিয়ান জাহাজ। সেজন্য জাহাজটির দক্ষিণ চীনের সায়েনথো বন্দরে (সিএনএসটিজি) পণ্যগুলো খালাস করার কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ভারতের বন্দরে ভিড়তে না পারায় জাহাজটিকে রুট পরিবর্তন করিয়ে চীনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চীনের সায়েনথো বন্দরে গিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস করতে চায় রাশিয়া। আশা করা হচ্ছে, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জাহাজটি চীনের বন্দরে গিয়ে পৌঁছাবে।

গ্লোবাল শিপ ট্র্যাকিং ইন্টেলিজেন্সের তথ্য বলছে, উরসা মেজর জাহাজটি চীনের সায়েনথোর দিকে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে আট দিনের মাথায় জাহাজটি সায়েনথো বন্দরে গিয়ে পৌঁছাবে। এর আগে, গত ২৪ ডিসেম্বর উরসা মেজর নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটির রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। বাংলাদেশ জানতে পারে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ। যেটির রঙ ও নাম বদল করে ‘উরসা মেজর’ নাম দেওয়া হয়। জাহাজটির আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সনদ নম্বর: ৯৫৩৮৮৯২, যা প্রকৃতপক্ষে ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজের সনদ নম্বর।

তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে। যদিও জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়া। তবে জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার বিষয়ে অনড় ছিল বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে জাহাজটি ভারতের যেকোনো বন্দরে পণ্য খালাস করে পরে তা অন্য জাহাজে করে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু জাহাজটি প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করে ব্যর্থ হয়। জাহাজটি ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: