ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় রানারআপ ‘কৃষ্ণপক্ষ’

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:০৫ পিএম

সানাউল্লাহ ফাহাদ, জবি থেকে: একবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অ্যাওয়ার্ড বাই ফিপরেস্কি জুরি সল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সেকশনের দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মিত্তিকা রাশেদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘কৃষ্ণপক্ষ’ (এ বার্নিং সোল)। রবিবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় যাদুঘরে মিলনায়তনে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে ৭ টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৮টি পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। এতে ৭১টি দেশের ২৫২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। কৃষ্ণপক্ষ চলচ্চিত্রটি ক্যাশ এওয়ার্ড হিসাবে ১লক্ষ টাকা পুরষ্কৃত হয়েছে। এই চলচ্চিত্রে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন নাঈম রাজ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী।

নাঈম রাজ জানান, কৃষ্ণপক্ষে আমি সদ্য অনার্স পাস করা একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। চলচ্চিত্রটিতে বাস্তবতা এবং পরবাস্তবতার সেতুবন্ধন করা হয়েছে। এটি আমার কাছে একটা নতুনতর অভিজ্ঞতা। নিজেকে বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণরূপে পরাবাস্তবায় নিয়ে যাওয়াটা মোটেও সহজ কথা নয়। তবে চলচ্চিত্রের প্র‍য়োজনে নিজের মনস্তত্ত্বে সেই পরিবর্তন আনতে হয়েছে। মৃত্রিকা রাশেদ এর চিন্তা ও কর্মে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তার মধ্যে আমি অপার সম্ভাবনা লক্ষ্য করি। ‘কৃষ্ণপক্ষ’ পুরস্কৃত হওয়ায় আমি অভিনেতা হিসেবে দিগন্ত উড়াল আনন্দ অনুভব করছি। কৃষ্ণপক্ষের সকল কলাকুশলীদের আমার শুভকামনা ও অভিনন্দন।

পরিচালক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী মৃত্তিকা রাশেদ অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমার সিনেমার গল্প আসলে সিনেমাকে ঘিরেই। নব্বই দশকে বাংলাদেশের সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার, বর্তমানে সে সংখ্যা দেড়শো থেকে দুইশ হবে। এই পরিসংখ্যান যখন একজন ফিল্ম জার্নালিস্ট অনুধাবন করতে পারেন, তার মনস্তাত্ত্বিক জগতে ঘটতে থাকে নানান পরিবর্তন। এই একজন মানুষের বিচিত্র অনুভূতিকে আমি ভিজ্যুয়ালাইজ করার চেষ্টা করেছি থ্রু ক্যামেরা এ্যান্ড লেন্স। দর্শকদের ভালো লাগলেই আমার এ চেষ্টা সার্থক। আমি এক্সপেক্টই করিনি আমার চলচ্চিত্রটি পুরষ্কৃত হবে। আমার কাছে এটি স্বপ্নের মতো কিংবা আমার সিনেমার মতো পরাবাস্তব কিছু। এ পুরষ্কার আমার সিনেমা নির্মাণের যাত্রায় সবসময় অনুপ্রেরণা জোগাবে। সামনে আরো ভালো কিছু নির্মানের প্রত্যাশা করি।

এছাড়াও চলচ্চিত্রটিতে এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার রাশেদ বিপ্লব, সিনেমাটোগ্রাফার জাহেদ নান্নু, সম্পাদক বনি চৌধুরী, স্পেশাল ইফেক্ট রাহান আল রাশিদ, মিউজিক আহসান আল মিরাজ, আর্ট ডিরেক্টর মৃত্রিকা রাশেদ, কস্টিউম জায়েদ মিন আশরাফ এবং পোস্টের নিয়ে কাজ করেন পরাগ ওয়াহিদ।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২২ জানুয়ারি উৎসবটি শেষ হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: