কাস্টমস গ্যারাকলে ২ মাস ১০ দিন পর আমদানি পণ্য খালাসের অনুমতি

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:২৭ পিএম

মোহাম্মদ আবির, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে: নানান নাটকীয়তার পর আখাউড়া স্থল বন্দর থেকে ২ হাজার ৭শত টন গুরা পাথরের মধ্যে খালাসের অনুমোদন পাচ্ছে ৭ শত ৭০ মেট্রিকটন গুরা পাথর।কাস্টমসের গ্যারাকলে পরে ২ মাস ১০ দিন আটকে ছিল এই পাথর গুলো।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে ৭শত ৭০ মেট্রিক্স টন গুড়া পাথর খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টের খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি লোকেরা। এই পাথরগুলো আশুগঞ্জ নৌ বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ফোর লেন রাস্তা সম্প্রসারণ কাজে ব্যবহার করার জন্য ভারত থেকে আমদানি করা হয়।

জানা যায়, আমদানির পর থেকে কাস্টমসের জটিলতায় আটকে যায় এই পাথর গুলো। এই বন্দর দিয়ে এই রকম পাথর আমদানি অনুমোদন না থাকায় বন্দর থেকে খালাসের অনুমোদন পাননি স্থানীয় সি এন্ড এফ এজেন্ড। এতে করে অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যে দিয়ে অনেক দূরযাপ পোহাতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

এ ব্যপারে সি এন্ড এফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, আমরা যখন ২ মাস ১০ দিন আগে এল সির পুরো চালান ২ হাজার ৭শত মেট্রিক টন গুরা পাথর আমদানি করি। আমদানির পর কাস্টমস থেকে আমাদেরকে জানানো হয় এই বন্দর দিয়ে এই পাথর আমদানির অনুমোদন নেই। এর পর থেকে কস্টমসের নানান জটিলতায় গুরা পাথর গুলো বন্দরে আটকে পরে যায়। পরবর্তীতে (এন বি আর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে প্রথম চালানের ৭শত ৭০ মেট্রিক টন গুরা পাথর খালাসের অনুমোদন দেওয়া হয়। তারপরও আমাদের বন্দরে ১৯ শত ৩০ মেট্রিক টন গুরা পাথর রয়ে যাবে। যার জন্য আমাদেরকে ২ মাস ১০ দিনে বন্দর মাশুল দিতে হচ্ছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এতে করে আমাদের অনেক আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোঃ সামাউল ইসলাম জানান, ২ হাজার ৭ শত মেট্রিক টন গুরা পাথরের মধ্যে ৭শত ৭০ মেট্রিক টন গুরা পাথর অনুমোদন পাওয়ায় স্থানীয় সি এন্ড এফ এজেন্টের প্রতিনিধিরা সকাল থেকে খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে করে ২ মাস ১০দিনে বন্দর মাশুল ফি আদায় হয়েছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, চূর্ণপাথর আমদানি করার অনুমতি না থাকায় ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তবে চারলেন প্রকল্পের হওয়ায় এনবিআর বিশেষ ক্ষমতায় শর্তসাপেক্ষ ৭৭০ টনের ছাড়পত্র দিয়েছে। বাকিগুলোর জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআরে আবেদন করেছে।

উল্লেখ্য, আমদানি হওয়া পাথরগুলো ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রতি টন ১৩ মার্কিন ডলারে আমদানি করছে। স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ আমদানিকৃত পাথরের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করছে পাথরগুলোর আমদানি শুল্ক প্রায় ৬৯ শতাংশ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: