খাবারে মাছি, ঢাবির হল কর্মচারীর মাথা ফাটালেন ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ক্যান্টিনে খাবারে মাছি পড়াকে কেন্দ্র করে এক কর্মচারীর মাথা ফাটিয়েছেন হলের এক ছাত্রলীগ নেতা। তবে বিষয়টি ইচ্ছাকৃত না বলে দাবি ওই ছাত্রলীগ নেতার।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম শোয়াইব আহমেদ খান প্রান্ত। তিনি শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। অন্যদিকে আহত ক্যান্টিন কর্মচারীর নাম কাওসার আহমেদ তানিক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরের খাবার খেতে গিয়ে তরকারিতে মাছি পেলে ক্যান্টিনে ক্যাশে গিয়ে খাবারের বাটি ছুঁড়ে মারেন ছাত্রলীগ নেতা প্রান্ত। এসময় ছুঁড়ে মারা বাটি গিয়ে লসগে ক্যাশে বসে থাকা তানিকের মাথায়। আঘাত পেয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) পাঠানো হয়। এসময় ক্যান্টিনে খাবার সরবরাহ সাময়িক বন্ধ ছিলো। পরে হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

ভুক্তভোগী তানিম বলেন, আমি সেই সময় বাবার (মো. জাহাঙ্গীর) ক্যাশে বসে ছিলাম। প্রান্ত ভাই ক্যান্টিনের খাবার নিয়ে ক্যান্টিনের পাশে দোকানের সামনে খাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে এসেই খাবারের বাটি ছুঁড়ে মারেন। এতে আমার মাথা ফেটে রক্ত বের হওয়া শুরু করে।

এদিকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করেন নি দাবি করে ছাত্রলীগ নেতা শোয়াইব আহমেদ খান প্রান্ত বলেন, খাবারে মাছি দেখে আমি খাবার ছুঁড়ে মেরেছি। তবে তার মাথায় আঘাত করার উদ্দেশ্যে আমি বাটি ছুঁড়ি নি। তাছাড়া এমন দূর্ঘটনার ঘটবে তা আমি বুঝে উঠতে পারিনি। পরে অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে আমি ক্ষমা চেয়েছি।

এদিকে অভিযুক্ত প্রান্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা। তিনি বলেন, প্রান্ত যে কাজটি করেছে সেটি অন্যায় করেছে। আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে দিয়েছি। তানিকের চিকিৎসার খরচ আমরা হল শাখা ছাত্রলীগ থেকে দিয়ে দেবো। এছাড়াও প্রান্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম বলেন, আমি হলের বাইরে আছি। ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: