রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষকের স্বপ্ন পূরণ

রঙিন ফুলকপি বাজারের অন্যান্য ফুলকপির থেকে আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বাজারের অন্য ফুলকপির থেকে রং আলাদা হওয়ায় এদের আকর্ষণ এবং চাহিদা বাজারে সব থেকে বেশি। রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও বাজারমূল্য অনেক বেশি। খেতেও সুস্বাদু। প্রথমবারের মতো জামালপুরের মাদারগঞ্জে রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষক রাসেলের সপ্ন পূরণ হয়েছে। বাজারে ফুলকপির চাহিদা বেশি হওয়ায় এর বাজার মূল্য কিছুটা বেশি।

কৃষক রাসেল জানান, ৩৩ শতাংশ জমিতে ফুল কপির চাষ করে এরইমধ্যেই লাখ টাকা বিক্রি করেছি। মাদারগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ফুলকপি বীজ তিনি সংগ্রহ করার পাশাপাশি তাদের পরামর্শে সময় মতো সার, কীটনাশক প্রয়োগ করায় সফলতার পাশাপাশি লাভবান হয়েছি।

জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা সদরের গাবেরগ্রাম ব্লকের চরশুভগাছার রাসেলের বাড়ি। অনেক আগ থেকে তিনি বিভিন্ন সবজি চাষ করেন। প্রতিবছরই তিনি ফুলকপি চাষ করেন। অন্য বছরের তুলনায় এবার তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে ৩৩ শতাংশ জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করছেন। রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। পুষ্টিগুণে ভরপুর রঙিন জাতের এই ফুলকপিগুলোর দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে চার গুণ বেশি। এই ফুলকপি দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করছেন রাসেলের জমিতে।

কৃষক রাসেল আরো জানান, সাধারণ সাদা জাতের ফুলকপি বাজারে প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও তিনি এই ফুল কপি চার গুণ বেশি দামে কেজিতে বিক্রি করছেন। নতুন জাত ও দাম বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে তিনি আরো বেশি জমিতে এই ফুলকপি চাষ করবেন বলে জানান।

কৃষক রাসেলের রঙিন ফুলকপির চাষ দেখে এলাকার অন্যান্য কাষৃকরা উৎসাহিত হয়েছে ফুলকপি চাষে।

রাসেলের প্রতিবেশী কৃষক সালাম বলেন, আমাদের এলাকার কৃষক রাসেল রঙিন কপি চাষ করেছেন। আমরা আশপাশের কৃষকরা তা দেখে উৎসাহিত হয়েছি। আগামী বছর আমরাও এ কপি চাষ করব।

মাদারগঞ্জ উপজেলা কৃষি কৃমকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে রাসেলসহ আরো কয়েকজনকে আমরা রঙিন ফুলকপির বীজ, জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ দিয়েছিলাম। রাসেল চাষ করলেও অন্যান্যরা চাষ করেনি। রাসেল ঝুঁকি নিয়ে চাষ করেছে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় উপজেলার অন্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও বাজারমূল্য অনেক বেশি। খেতেও সুস্বাদু। আশা করছি আগামীতে উপজেলায় রঙিন জাতের ফুলকপির চাষ আরো বাড়বে।