বাড়তে পারে চলমান ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:০৭ পিএম

আর্থিক সংকটের কারণে নতুন করে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) নতুন প্রকল্প সরকার স্থগিত করলে চলমান প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে এক লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম কেনা হয়। তবে সে সময় প্রস্তুতি না থাকায় মাত্র ছয়টি আসনে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ভোটের পরিকল্পনায় নিয়ে সরকারকে নতুন করে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় ভোট আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি। এক্ষেত্রে সাড়ে তিন লাখ মেশিন পেলে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়। তবে নতুন প্রকল্প পাশ না হলে চলমান প্রকল্পের মেশিনগুলো দিয়ে যতগুলো আসনে সম্ভব ততগুলো আসনেই ব্যবহারের ভাবনাও রাখে ইসি।

ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্ণেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, সে সময় (২০১৮ সালে) নেওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী জুনে। আর নতুন প্রকল্প প্রস্তাব স্থগিত হওয়ায় এক্সিজটিং যেটা আছে সেটা নিয়েই যতগুলো পারা যায় আমরা সেভাবেই চেষ্টা করছি। প্রকেল্পর মেয়াদ শেষ, সেটাই এখন গুছাচ্ছি। আগের যেটা ছিল সেটা ছাড়া তো আর অল্টারনেটিভ নেই।

মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে তিনি জানান, সামনে নির্বাচন আছে সেটাকে নিয়ে প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে যে মেয়াদে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা সেটা দেয়া হচ্ছে। আর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আরেকটা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন,আমরা দুইটা পরিকল্পনা রাখছি। একটা হচ্ছে খরচ বৃদ্ধিসহ আর খরচবৃদ্ধি ছাড়া। ব্যায়বৃদ্ধি আসলে খুব একটা নাই। সম্প্রতি প্রকল্পটিকে ‘বি’ ক্যাটাগরি করা হয়েছে। যার ফলে খরচে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। সেক্ষেত্রে অনেক জায়গায় আমাদের অর্থ পরিশোধ করার কথা সেগুলো পারছি না। আমাদের বকেয়া কিছুটা থেকে যাবে।

গোডাউন ভাড়া সংক্রান্ত জটিলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার চেষ্টা করবো। আমরা ওইভাবে চিন্তা করি নাই। প্রকল্প থেকে কোনো গোডাউন ভাড়া নেয়া নাই। সেই ভাড়ার বিষয়ে অমারা অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। তারা গণপূর্তকে রেফার করেছে। সেখান থেকে এটাকে ভেরিফাই করবে। সেটা হয়ে গেলে ভাড়ার জটিলতা দূর হবে। বিএমটিএফের সাথে কি রকম বকেয়া আছে এটা প্রকল্প থেকে যাবে না রাজস্ব থেকে যাবে এটা তখন সিদ্ধান্ত হবে।

কিছু ইভিএম ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল সেগুলো অবস্থা জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ২০ হাজার রেডি করছে। আরও ২৫ হাজার সেখানে (বিএমটিএফ) যাবে।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ইতিমধ্যে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চলমান প্রকল্পে আমাদের যে ইভিএম আছে এতে ৫০টা, ৪০টা বা ৩০ টা; এই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি এখনো। যে মেশিনগুলো আমাদের কাছে আছে সেগুলো যদি কার্যকর থাকে আমরা কিউসি করছি, আমরা যতটা (আসনে) সম্ভব আমরা নির্বাচন করতে পারবো। তবে বিষয়টা আমরা নিশ্চিত নই, আগে জানতে হবে কতগুলো ইভিএম মেশিন সঠিক আছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: