নির্বাচন কমিশনারের স্বাক্ষর জাল করে এনআইডি সংশোধন!

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুরের স্বাক্ষর জাল করে একাধিক এনআইডি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়। পরে জাল স্বাক্ষরের এনআইডিগুলো সংশোধন হলে এই কমিশনারের নজরে নজরে আসে বিষয়টি। তিনি এটি আমলে নিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি জানিয়ে এনআইডি মহাপরিচালককে ইউ নোট দেন। ইউ নোট পাওয়ার পর পরই তাৎক্ষণিকভাবে সনাক্ত হওয়া তিনটি এনআইডি লক করে দিয়েছে এনআইডি অনুবিভাগ।

সূত্র জানিয়েছে, কমিশনারের সুপারিশ করা এনআইডির একাধিক আবেদন সংশোধন হয়ে গেছে। তবে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি কমিশনার স্যারের নজরে আসলে উনি এনআইডি মহাপরিচালককে ইউ নোট দেন। এরই প্রেক্ষিতে স্বাক্ষর জাল করে সুপারিশ করা তিনটি এনআইডি’র সংশোধিত আবেদন লক করাসহ এ জালিয়াতির সাথে জড়িত সকলকে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘মাননীয় কমিশনার স্যারের স্বাক্ষর জাল করে সুপারিশে এনআইডি সংশোধন হয়েছে বিষয়টি সত্য। কমিশনার স্যার একটি ইউ নোটের মাধ্যমে তার স্বাক্ষর জালের বিষয়টি জানিয়ে জাড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এ লক্ষ্যে এনআইডি’র মানবসম্পদ গবেষনা ও উন্নয়ন শাখার উপপরিচালক মো. মোখলেছুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনআইডি অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘মাননীয় নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান স্যার এর একটি ইউ নোট আমার কাছে পাঠিয়েছিলেন এনআইডি মহাপরিচালক স্যার। ইউ নোটে তিনটি এনআইডি লক করার বিষয়ে নির্দেশনা ছিল। আমি কমিশনার স্যারের ইউ নোট দেখে তিনটি এনআইডি লক করে দ্রুতই এনআইডি’র অপরেশন্স শাখায় চিঠিটি পাঠিয়ে দিয়েছি।’

এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে আছি। আপনি বিষয়টি জানতে এনআইডির সিস্টেম ম্যানেজারের সাথে কথা বলেন।’

আপনার স্বাক্ষর জাল করে এনআইডি সংশোনের সুপারিশ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘এটা নিয়ে নিউজ করার কি আছে? আমরা তদন্ত করে বের করবো, কে করছে, কারা করছে। আমরা এটা তদন্ত দিয়েছি এবং এনআইডিগুলো লক করার জন্য বলেছি। পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হব।'