এখনো নেভেনি মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি কারখানার আগুন, ক্ষতি ১৫০ কোটি

প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২৩ পিএম

মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি কারখানায় লাগা আগুন এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নেভেনি । কারখানার ভিতরে থেকে এখনও কালো ধোয়া বের হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা। ভিআইপি কারখানার হেড অব এইচ আর মোঃ মিজানুর রহমান খাঁন বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় এতথ্য নিশ্চিত করেন।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে। ‘ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিডেট’ এর হেড অব এইচ আর মোঃ মিজানুর রহমান খাঁন বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে তাদের মোংলা ইপিজেডে ৯টি কারখানার মধ্যে ১ নম্বর কারখানাটিতে সর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোংলা, বাগেরহাট ও রামপালের আটটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে গেলেও ততক্ষনে কারখানাটি পুড়ে যায়। এসময় কারখানাটিতে থাকা লাগেজ তৈরীর কাঁচামালসহ তৈরী লাগেজ ছিল। যা বেশ কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্রে রপ্তানির অপেক্ষায় ছিল। এছাড়া এ কারখানায় রাসায়নিক আঠা, পলিথিন জাতীয় দাহ্য পদার্থ ও হাই ভোল্টেজ মেশিনারিজ যন্ত্রপাতিও সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়ে মোট ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে’। এই ঘটনা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোংলা থানায় একটি জিডিও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ভিআইপির কর্মকর্তা মিজানুর আরও বলেন, পৃথিবীর একমাত্র বড় এক লাখ ১১ হাজার বর্গ ফুটের এ লাগেজ কারখানায় অগ্নিকান্ডের সময় সেখানে কর্মরত তাদের ৭০০ শ্রমিক নিরাপদে বেরিয়ে এসেছে। এজন্য কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ফায়ার সার্ভিসের মোংলা বন্দর ইউনিটের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আরবেশ আলী বলেন, 'ভিআইপি কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও ভিতর থেকে এখনও ধোয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে এখনো পুরোপুরি নেভেনি। মোংলা বন্দর, রামপাল, খুলনা ও বাগেরহাটের ৮টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছি'।

মোংলা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ সুত্র জানায়, ২০১৩ সালে ভারতীয় কোম্পানি ভিআইপি ইন্ডাষ্ট্রি বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিডেট এখানে বিনিয়োগ শুরু করে। শুরুতে তারা ছয়টি কারখানা দিয়ে পণ্য উৎপাদনে যায়। পরে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাদের এখন ৯টি কারখানা রয়েছে এখানে। এসব কারখানায় ব্যাগ এন্ড লাগেজ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের সব দেশে এখানকার উৎপাদিত লাগেজ রপ্তানি করা হয়।

মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বলেন, ‘ইপিজেডের ভিতরে ভিআইপির ১ নম্বর কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখনও আগুন পুরোপুরি নেভেনি। কারখানাটিতে আগুন লেগে ভিআইপি’র অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ইপিজেডের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (হিসাব) আবুল হাসান মুন্সিকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। এরপর ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে’।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: