৩ বছর সংসার করে প্রবাসীর বিয়ে অস্বীকার, গ্রাম সালিশেই স্ত্রীর বিষপান

প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:২১ পিএম

মেহেরপুরে দীর্ঘ তিন বছর এক সাথে ঘর-সংসার করে,দেশে ফিরে বিয়ে অস্বীকার করায় গ্রাম সালিশেই স্ত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা। বৃহষ্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সালিশ চলাকালীন সময়ে ক্ষোভ ও অভিমানে বিষপান করে, আত্মহত্যার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছেন বুলবুলি খাতুন (২৮) নামের এক নারী। দীর্ঘদিন ঘর-সংসার করার পর বিয়ের কথা অস্বীকার করায় সমাজ পতিদের সামনেই বিষপান করেন ওই নারী। মুমুর্ষাবস্থায় তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুলবুলি গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামের প্রবাস ফেরত সুমনের স্ত্রী ও হোগলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে।

বুলবুলি খাতুনের মা হেলেনা খাতুন জানান, সৌদি থাকালীন সময়ে সুমনের সাথে বছর তিনেক আগে মোবাইল ফোনে বুলবুলির বিয়ে হয়। এর মাস খানেক পর সুমন দেশে ফিরে আসলে, বাওটের এক কাজীর বাড়িতে আবারো বিয়ের পিঁড়িতে বসে দুজন। স্বাভাবিক ভাবে দু-জন ঘর সংসার করতে থাকে। বিয়ের দুমাস পর সুমন আবারো সৌদি আরবে পাড়ি জমান।

সুমন বিদেশ যাবার পর তার বাড়ির লোকজন বুলবুলিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং উভয় পরিবারের মধ্যে শুরু হয় আত্মীয়তা। সম্প্রতি সুমন দেশে ফিরে আসে এবং বুলবুলিকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সুমনের বাড়িতে সালিশে বসেন। এসময় সুমন ও বুলবুলির মধ্যে কোন বৈবাহিক সম্পর্ক নেই এবং কোন কাগজপত্র নেই বলে দাবী করে সুমন। বুলবুলিও ও কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

সালিশে স্থানীয় লোকজন নানা মন্তব্য করলে রাগে ক্ষোভ ও অভিমানে বুলবুলি সুমনের ঘরে প্রবেশ করে, মরিচ ক্ষেতে দেয়া বিষ পান করে। উপস্থিত লোকজন বুলবুলিকে তড়িঘড়ি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পর বিপদমুক্ত হন বুলবুলি। বর্তমানে তিনি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছে।

সালিশে উপস্থিত ছিলেন, তেতুঁলবাড়িয়া ইউপি মেম্বর জেকের আলী, খোকন ও গ্রামের সমাজপতিগণ।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি ঘটনাটি জানার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছেন। কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: