নারায়ণগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর পড়ে শিশু নিহত

নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, সদর উপজেলা (নারায়নগঞ্জ) থেকে: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে নির্মানাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর পরে মুশফিকা আক্তার নামে সাড়ে ৫ বছর বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কাশীপুর ইউনিয়নের উত্তর গোয়ালবন্দ ব্যাংক কলোনী আবাসিক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মুশফিকা ওই এলাকার মো. খলিলের মেয়ে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল।
স্থানীয় লোকজন জানান, নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খোলা থাকায় ভেতরে পরে যায় মুশফিকা আক্তার নামে ওই শিশু। শিশুটির মা তাকে ভেতর থেকে বের করে আনে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নির্মাণাধীন ভবনটির বাড়িওয়ালি মোরশেদা বেগম বলেন, ‘দুপুর আড়াইটার দিকেও তিনি সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা লাগানো দেখেছেন। কেউ ঢাকনাটি চুরি করে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করছি। বিকেল চারটার দিকে ঘর থেকে বেরিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খোলা দেখি। পরে ট্যাংকের ভেতর উঁকি দিয়ে বাচ্চা বয়সী কারও টুপি ও জুতা ভাসতে দেখি। পরে আশেপাশের লাকজনকে ডাক দেই।’
‘আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বলার সময় পাশের বাসা থেকে বাচ্চাটার মা বেরিয়ে আসে। পরে টর্চলাইটের আলো জ্বেলে বাচ্চাটিতে ভাসতে দেখি। বাচ্চার মা সুখী বেগম পরে বাচ্চাটিকে টেনে বের করে নিয়ে আসে।’
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. রুবেল বলেন, ‘হৈ-চৈ শুনে তিনি বেরিয়ে আসেন। বাচ্চাটিকে বের করার পর তার মুখ সাদা হয়ে গেছে দেখি। আমরা পেটে চাপ দিয়ে পানি বের করি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। হাসপাতালেই ওই বাচ্চাটি মারা যায়।’
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মহসীন জানান, এখনো তাদেরকে এই বিষয়ে অবগত করেনি।
শাকিল/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: