শেষ দল হিসেবে প্লে-অফে রংপুর

প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৪৮ পিএম

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে প্লে-অফ নিশ্চিত করলো রংপুর রাইডার্স। নাসিরের ঢাকাকে ২ উইকেটে হারিয়েছে সোহানের দল। এই ম্যাচ হেরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে নিয়ে লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিলো ঢাকা। দিনের প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের কাছে ৩৭ রানে হেরে বিদায় নেয় খুলনা টাইগার্স। রংপুরের আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করে সিলেট স্ট্রাইকার্স-ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে রংপুর। ১১ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে ঢাকা।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক। ব্যাট হাতে ইনিংসের শুরুতেই বিপদে পড়ে ঢাকা। চার ওভারের মধ্যে ১১ রানে ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। শুরুতেই বিপদে পড়া ঢাকাকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ব্লেক। চতুর্থ উইকেটে ২৭ বলে ৩৮ রান যোগ করে এ জুটি। ব্লেককে ১৮ রানে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন রংপুরের পেসার হাসান মাহমুদ।

এরপর উইকেটে সেট হওয়া মামুনকে ২৩ রানে থামান স্পিনার মাহেদি হাসান। মুক্তার আলিকে ৭ রানে বিদায় করে ঢাকার উপর চাপ বাড়ান পাকিস্তানের স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ। ৭৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১শর নীচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে ঢাকা। কিন্তু সেটি হতে দেননি আরিফুল হক ও শরিফুল ইসলাম। সপ্তম উইকেটে ২৪ বলে ২৮ রান তুলে দলের স্কোর ১শ পার করেন আরিফুল ও শরিফুল। ইনিংসের শেষ ওভারে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৫ রান তুলে ঢাকাকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন আফগানিস্তানের আমির হামজা। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩০ রান করে ঢাকা। ১১ বলে অপরাজিত ১৫ রান করেন হামজা। রংপুরের ওমারজাই ২২ রানে ২ উইকেট নেন।

১৩১ টার্গেট ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় রংপুর। ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। তৃতীয় ওভারে আবারও হোচট খায় রংপুর। তিন নম্বরে নামা হার্ড-হিটার মাহেদি হাসানকে ৪ রানে শিকার করেন শরিফুল। ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর।

এরপর রংপুরকে চাপমুক্ত করতে ঢাকার বোলারদের উপর পাল্টা আক্রমন করেন চার নম্বরে নামা নুরুল। তার ১১ বলে ২১ রানে পাওয়ার প্লেতে ৪২ রান পায় রংপুর। মুক্তার আলির করা ১০ম ওভারে ১৬ রান তুলেন নুরুল-রনি। এরমধ্যে নুরুল ১টি করে ছয়-চার ও রনি ১টি চার মারেন। ১২তম ওভারে সৌম্যর শেষ তিন বলে ১টি চার ও ২টি ছয় মারেন নুরুল। ছক্কা হাকিয়ে ৩১ বলে এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পুর্ন করেন নুরুল।

১৩তম ওভারে দলীয় ১০২ রানে রনিকে শিকার করে ঢাকাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন নাসির। আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৩৪ রান করেন রনি। পরের ওভারের প্রথম বলে নুরুলকে থামিয়ে ঢাকাকে ম্যাচে ফেরার পথ দেখান শরিফুল। ৩৩ বলে ৬১ রান করেন নুরুল। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান নুরুল।

১৫তম ওভারে নাসিরের চতুর্থ বলে ছক্কা মারার পরের ডেলিভারিতে আউট হন টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৫শতম ম্যাচ খেলতে নামা পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। ৭ রান করেন তিনি। এই শিকারের মাধ্যমে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১৪ উইকেটের মালিক হন নাসির।

পরের ওভারে নাওয়াজকে ১ রানে থামিয়ে লড়াইয় জমিয়ে তুলেন হামজা। দলীয় ১১১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় রংপুর। সপ্তম উইকেটে ১৩ রান তুলে রংপুরকে জয়ের কাছে নিয়ে যান ওমারজাই ও শামিম। এমন অবস্থায় শেষ ১২ বলে ৭ রান দরকার পড়ে রংপুরের।

১৯তম ওভারে শেষবারের মত আক্রমনে এসে প্রথম দুই বলেই উইকেট তুলে নেন নাসির। শামিমকে ৮ ও রাকিবুল হাসানকে শূন্য হাতে আউট করেন ঢাকার অধিনায়ক। এই ওভার থেকে ২ রান আসে। শেষ ওভারে ৫ রানের প্রয়োজন মিটিয়েছেন হারিস রউফ ও ওমরজাই। রউফ-ওমারজাই ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার নাসির ৪টি ও শরিফুল ৩টি উইকেট নেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: