স্বামীকে মারধর করে বউ-বাচ্চা নিয়ে পালাল প্রেমিক

প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০৫ এএম

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে স্বামীকে মারধর করে এক গৃহবধূ ও তার শিশু সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই যুবক তার স্ত্রীর প্রেমিকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে সালথা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থানায় অভিযোগটি করেন ওই ভুক্তভোগী যুবক।

গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ওই যুবকের নাম হাবিব শেখ (২৮)। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার হীরালদি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রীর নাম ইমা বেগম (১৮)। ইমা বেগমের বাবার বাড়ি সালথা উপজেলার আলমপুর গ্রামে। হাবিব-ইমা দম্পতির সাত মাস বয়সী মেয়ের নাম রাইসা মনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম তারিকুল মোল্যা (২১)। তিনি সালথা উপজেলার আলমপুর গ্রামের কাঞ্চু মোল্যার ছেলে।

অভিযোগ সুত্র জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাবিব শেখ তাঁর স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সালথার আলমপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে যান। পরদিন শুক্রবার দুপুরের দিকে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অটো ভ্যানে চড়ে নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথে আলমপুর গ্রামের শেষ সীমান্তে পৌঁছালে, অভিযুক্ত তারিকুল মোল্যাসহ ৮-১০ জন লোক তাঁদের অটো ভ্যানের গতিরোধ করে। এ সময় অভিযুক্তরা হাবিব শেখকে মারধর করে তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে অন্য আরেকটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ইমা বেগমের বাবা লিটন খা বলেন, ‘দেড় বছর আগে আমার মেয়ে ইমা বেগমের বিয়ে হয়। সাত মাস বয়সী তাঁর একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। শুক্রবার সকালে আমার বাড়ি থেকে তাঁর শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার সময় পরিকল্পিতভাবে তারিকুল আমার মেয়ে ও নাতনিকে তুলে নিয়ে গেছে। নগদ টাকাসহ স্বর্ণের জিনিসও নিয়ে গেছে। আমার মেয়ে জামাইকেও ওরা মারধর করেছে। এখন পর্যন্ত আমার মেয়ে ও নাতনির কোনো খোঁজ-খবর পাইনি।’

লিটন খাঁ আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে ইমা বেগমের বিয়ের আগে তাঁর সঙ্গে তারিকুলের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তবে ইমার সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই তারিকুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় কয়েকজন আমাকে জানিয়েছিল।’

এ বিষয় অভিযুক্ত তারিকুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তারিকুলের ভাবি ও তাঁর পরিবার উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ‘ইমা বেগম ও তাঁর মেয়েকে তারিকুল তুলে নিয়ে যায়নি। তারিকুল একটা অবিবাহিত ছেলে। সে কেন এক সন্তানের মাকে তুলে নিয়ে যাবে। অনেক আগে থেকেই তারিকুলের সঙ্গে ইমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জের ধরে তারা দুজনই পালিয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন বলেন, ‘এই সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। আসল ঘটনা উদ্ঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: