প্রেমের টানে জামালপুরের যুবক ভোলায়, প্রেমিকার বাড়িতে বিষপান

প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩১ এএম

প্রবাসে থেকে দীর্ঘদিন প্রেমের পর প্রেমিকাকে না পেয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জামালপুরের যুবক লাভলু ওরফে আপন (৩০)। প্রেমিক লাভলু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়রা জানিয়েছে, প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে তিনি যা রোজগার করেছিলেন সবই দিয়েছেন প্রেমিকাকে। এতো কিছুর পর যখন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়; তখন প্রেমিক আপন সৌদি থেকে প্রেমিকার বাড়ি ভোলায় গিয়ে বিষপান করেন।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রেমিকা বেপারী বাড়ির সালাউদ্দিন বেপারীর মেয়ে মুন্নী (২৩)।
লাভলু ওরফে আপন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের দেওলাবাড়ী প্রামানিক পাড়ার লালমিয়ার ছেলে। আপন বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভোলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. মামুন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আপনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দারো খাখাল বাজার সংলগ্ন সালাউদ্দিন মিয়ার তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে মুন্নীর সঙ্গে সৌদি প্রবাসী লাভলুর মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আপনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রেমিকা। এ অবস্থায় টাকা হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে প্রেমিক আপন বেকায়দায় পড়ে যান। উপায় না পেয়ে সৌদি থেকে দেশে চলে আসেন। বিমানবন্দর থেকেই প্রেমিকার দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী ভোলায় গিয়ে বাড়ি খুঁজে বের করলে প্রেমিকা পালিয়ে যান। এ সময় তার লোকজন দিয়ে হেনস্থা করে প্রেমিককে পুলিশে সোপর্দ করেন।

আপনের বড় ভাই মজনু মিয়া জানান, তার ভাই থানায়, এই খবর শুনে ভোলা গিয়ে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে জামালপুরে আসার পথে আপন পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে তারা জামালপুর চলে আসলে পরবর্তীতে শুনতে পান আপন বিষপান করেছেন।

মজনু মিয়া আরো বলেন, তার ভাই প্রবাসে যা ইনকাম করেছেন সবই তার প্রেমিকাকে দিয়েছেন।

প্রেমিকার ভাই সাখাওয়াত হোসেন জানান, তার বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ঠিক আছে তবে ওই ছেলেকে তার অভিভাবক নিয়ে আসতে বলেছিলেন। অভিভাবক নিয়ে আসার কথা বলে চলে যাওয়ার সময় এলাকার কিছু বখাটে তাকে আটক করে টাকা, মোবাইল রেখে পুলিশে দিয়েছে। পুলিশের থেকে ছাড়া পেয়ে আমাদের বাড়ির পাশে গিয়ে বিষপান করেছেন। সেখান থেকে পুলিশসহ আমরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।

ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা প্রথমে এই ছেলেকে হেফাজতে এনে তার ভাইয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছিলো। পরবর্তীতে শুনলাম বিষপান করেছেন। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: