৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি: প্রকল্প পরিচালক

প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২০ পিএম

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ঠিক কতটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারযোগ্য আছে তা জানতে গত ৪ মাস ধরে টানা কিউসি করে কাগজের বক্সে রাখা ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক কর্ণেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে ৮০ হাজার ইভিএমের মধ্যে ৪০ হাজার হার্ড বক্সে পাঠানো হয়েছিল। বাকি ৪০ হাজার পাঠানো হয়েছিল কাগজের বক্সে, সেগুলো কোয়ালিটি চেকিং করা হচ্ছে। আর বিএমটিএফে যে ৭০ হাজার মেশিন ছিল, সেগুলোর মধ্য থেকেও কিছু কিছু ব্যালট ইউনিট বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে। কেননা, কিছু কিছু জায়গায় একটি কন্ট্রোল ইউনিটের বিপরীতে একাধিক ব্যালট ইউনিটের প্রয়োজন পড়েছে। এক্ষেত্রে সেই ৭০ হাজার মেশিনের সেট (কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট প্রভৃতি) মেলাতে হবে।

তিনি বলেন, দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৭০ হাজার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) সংরক্ষিত রয়েছে। ৮০ হাজার মেশিন মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ৩৫ শতাংশ কোয়ালিটি চেকিং (কিউসি) করা বাকি আছে। বিএমটিএফ কাজটি করছে। এক্ষেত্রে আগামী মার্চের মধ্যে জানা যাবে সংসদ নির্বাচনে কতটি মেশিন ব্যবহারযোগ্য। তাই এখন বলা সম্ভব নয়।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, নতুন প্রকল্প স্থগিত হওয়ায় আমাদের হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএম দিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ঠিক কতটি মেশিন রেডি করা যায়। প্রচেষ্টা আমাদের চলছে। কিউসি করছি। কাজটি চলমান রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় কতগুলো ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব। বাট আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক চেষ্টা করবো।

আরেক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো আসনে তিন লাখ ভোটার রয়েছে। আবার কোনো আসনে ১৯ লাখ ভোটার রয়েছে। কোথাও সেম নাম্বারে (ভোটার সংখ্যা) একটা আসন হয়, কোথাও পাঁচটা আসন হয়। আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে। তাই কোন আসন যে কমিশন দেবে সেটার ওপর নির্ভর করবে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে।

উল্লেখ্য, সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য সম্প্রতি ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ নতুন একটি প্রকল্প করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের কারণে আপাতত সেই প্রকল্পটির প্রক্রিয়াকরণ স্থগিত করেছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাতে থাকা ইভিএম দিয়েই সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম ক্রয় করেছিল নির্বাচন কমিশন। একাদশ সংসদের ৬টি আসনসহ গত ৫ বছরে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন এবং বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: