কন্টেইনারে পাওয়া সেই বাংলাদেশিকে নিয়ে যা বলল মালয়েশিয়া

   
প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

কিশোর ফাহিমের সঙ্গে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন

কন্টেইনারে পাওয়া সেই বাংলাদেশিকে চিকিৎসা দেওয়ার পর ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ১৬ বছরের ওই বালককে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। গত ১৭ জানুয়ারি তাকে বন্দরের একটি কন্টেইনার থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তাকে ফেরত পাঠানোর সময় বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলন করেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল।

জানুয়ারিতে পোর্ট ক্লাং-এ একটি শিপিং কনটেইনারে তাকে পাওয়া গিয়েছিল। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানিয়েছেন, ফাহিম নামের ওই কিশোর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে পোর্ট ক্লাংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। ১৭ জানুয়ারি জাহাজটি বন্দরে নামার সময় তাকে দুর্বল অবস্থায় পাওয়া যায়। সাইফুদ্দিন বলেন, তদন্তের ভিত্তিতে ফাহিমের মামলায় মানব পাচারের কোনোকিছু পাওয়া যায়নি। এমভি ইন্টিগ্রা নামের যে কন্টেইনারে কিশোরটিকে পাওয়া যায় সেটি বাংলাদেশ থেকে এসেছিল।

বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় কিশোরটিকে অনিচ্ছাকৃতভাবে কন্টেইনারে আটকে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেই সময় আমাদের বিবেচনা ছিল তাকে বাঁচানো এবং আমরা তাকে ক্লাংয়ের টেংকু আম্পুয়ান রহিমাহ হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, ‘সেই সময়কালে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার (ভ্রমণের) কাগজপত্র প্রস্তুত করতে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কারণ ফাহিমের কাছে কোনো ভ্রমণ নথি ছিল না।’ তিনি আরও বলেছিলেন যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া মুলতুবি থাকা কিশোরদের যত্ন নেওয়ার জন্য তিনি বেসরকারী সংস্থা ইয়াসান চৌ কিটের সহায়তা তালিকাভুক্ত করেছেন।

সাইফুদ্দিন বলেন, ‘ভুক্তভোগী একটি শিশু যাকে রক্ষা করা উচিত। দ্বিতীয়ত, জীবন রক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে কারণ এটি একটি অলৌকিক ঘটনা ছিল যে, সে কয়েকদিন ধরে সমুদ্রে থাকা সত্ত্বেও বেঁচে ছিল।’ তিনি জানান, বৈধ ভ্রমণ নথি ছাড়াই সাধারণত অভিবাসন ডিপোতে পাঠানো হয়, তবে এই ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

সাইফুদ্দিন বলেন যে, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন যে তিনি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সহজতর করবেন। তিনি বলেন, কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ছেলেটির সঙ্গে ছিলেন।

না.হাসান/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: