প্রেম করে বিয়ে, তালাকের পর ইবি ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১১:২৫ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্তে অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনকে আহবায়ক ও এস্টেট অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। বুধবার (১৫ মার্চ) ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডির যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির অন্যরা হলেন, সহকারী প্রক্টর জয়শ্রী সেন, সাজ্জাদুর রহমান টিটু ও শরিফুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী জানান, প্রেমের জের ধরে গত ১৮ নভেম্বর তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর অভিযুক্ত তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। ফলে গত ৩১ জানুয়ারি কাজির মাধ্যমে ভুক্তভোগী তাকে (হাফিজ) তালাক দেন। তালাকের পরও অভিযুক্ত তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক রাখতে চায়। এমনকি স্বামী স্ত্রীর গোপন ছবি ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এতে রাজি না হলে অভিযুক্ত হাফিজুর তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাফিজ যৌথ সভায় লিখিত বক্তব্য দেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার উপর আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে একদিন মেডিকেলে ডেকে প্রেগনেন্ট দাবি করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। সেখানে সে আমার কলার ধরে ও মারামরি করে। পরে আমার আগের একটা মেয়ের সাথে ছবি ছিল সেটা ক্যাম্পাসের সবার ইনবক্সে দেয়। আমি এর বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে আমরা যৌথ সভায় বসেছিলাম। সেখানে উভয়কে ডেকে তাদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। পরে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রতেবদন জমা দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: