লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলে ভুল করেছি: মাহি

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৫ পিএম

পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে যাওয়ার সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। মুক্তি পেয়ে তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেছেন, তার নাম মোল্যা নজরুল ইসলাম (গাজীপুর মহানগরের পুলিশ কমিশনার), গোটা পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নয়। লাইভে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলে ভুল করেছেন বলেও স্বীকার করেছে এই চিত্রনায়িকা।

গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আজ শনিবার রাতে শহরের তেলিপাড়া এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন মাহিয়া মাহি। ওই সময় তার আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। মাহি বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যেই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেই দেশে একজন পুলিশ কমিশনার একটা অন্যায় করে পার পেয়ে যেতে পারবেন না। আমি সব সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে জানাতে চাই, আমি কিন্তু পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে কথা বলি নাই। আমার অনেক পুলিশের সঙ্গে পরিচয় আছে। অনেক ফোর্সের প্রধানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা অনেক নাইস।

‘আমি শুধু একজন ব্যক্তির কথা বলছি বারবার, যিনি মোল্যা নজরুল। আমি তার বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমি কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে যাইনি।’ লাইভে যাওয়ার প্রসঙ্গে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘লাইভে মানুষ কখন যায়, যখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়। আমাদের শো-রুমটা দখল হয়ে যাচ্ছিল। ফেসবুকে যে ভিডিওটা আপলোড করেছি, তাতে আছে, লাঠি-পাইপ নিয়ে আমাদের শোরুমে আসছে দখলের উদ্দেশ্যে।’

সংবাদ সম্মেলনে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমি লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলে ভুল করেছি। একজন পুলিশ কমিশনার আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট করে। তাই আমার লাইভে বলাতে পুরো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছে হয়তো। আমি সেটার জন্য দুঃখিত, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে আমি যে দেড় কোটি টাকার কথা বলেছি, সেটা অবশ্যই তদন্ত হবে। আমি ন্যায়বিচারের জন্য সবার কাছে যাব।’

গ্রেপ্তার ও কারাগারে যাওয়া ঘটনা বর্ণনা করে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘আমাকে এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন পুলিশ থেকে শুরু করে গাজীপুরের পুলিশ কারাগারে দিয়েছে—এ পর্যন্ত আমার অভিজ্ঞতা অনেক খারাপ। তারা আমাকে যেভাবে ট্রিট করেছে তাতে মনে হয়েছে, আমি একজন যুদ্ধাপরাধী। হ্যাঁ, আমি একটা লাইভ করেছি, আমি একজনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, সে ডিজিটাল আইনে মামলা করেছে। কিন্তু আমি তো কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী নই।

‘আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমাকে গাড়িতে নেওয়ার সময় ওয়্যারলেসেও কথা বলছিলেন না পুলিশ সদস্যরা। গাড়িতে আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। আমি পানি চেয়েছিলাম, তারা আমাকে পানি দিয়েছেন এক ঘণ্টা পর।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: