প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

রফিকুল ইসলাম

বান্দরবন প্রতিনিধি

দোকানে একা পেয়ে শিশুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, আসামী গ্রেফতার

   
প্রকাশিত: ৯:৩৯ অপরাহ্ণ, ১৯ মার্চ ২০২৩

বান্দরবানের লামা উপজেলায় দিদারুল আলম (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে কন্যা শিশু শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে লামা থানা পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনায় শিশু কন্যা মা বাদী হয়ে লামা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে। শনিবার দিনে লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আমতলী পাড়া দোকানে এই ঘটনা ঘটে।

শিশু শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেফতার মোঃ দিদারুল আলম ফাইতং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খেদারবান এলাকার মৃত মাহবুবুল আলম ফকির এর ছেলে এবং তিনি পেশায় একজন টমটম চালক।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীর বাড়ি সংলগ্ন একটি মুদির দোকান করে। ভিকটিমের মা নিজের কাজে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা ব্রিজ নামক স্থানে গেলে মেয়ে শিশুটিকে দোকানে বসিয়ে যায়। ভিকটিম’কে দোকানে একা পেয়ে অভিযুক্ত দিদারুল আলম জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে তাকে শ্লীলতাহানি করে। বেলা ১১টার দিকে স্বজনরা ভিকটিমের মাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়।

ভিকটিমের মা জানায়, মেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকলে এবং স্থানীয় লোকজন আসতে দেখে দিদারুল ভিকটিম’কে ছেড়ে টমটম দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। মেয়ের মুখে ঘটনা শুনে জরুরী সেবা ৯৯৯ এর ফোন করিলে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি হইতে পুলিশ এসে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় এবং অভিযান চালিয়ে আসামী দিদারুল কে গ্রেফতার করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ জুনাইয়েদ বলেন, বাদী জরুরী সেবা ৯৯৯ এর ফোন করলে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শামীম শেখ নেতৃত্বে পুলিশের টিম অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করে। ঘটনার ৪ ঘন্টা না পেরুতে ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই মাসুদ রানা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষককে ভাঙ্গাব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে লামা থানায় নিয়ে যাই।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০০৩ এর ১০ ধারায় মামলা শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: