গুরুদাসপুরে পানিতে তলিয়ে গেছে ২০০ বিঘা জমির বোরো ধান

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫৯ পিএম

সোমবার (২০ মার্চ) ও মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুই দিনের বর্ষণে নাটোরের গুরুদাসপুরে পানি নিষ্কাশনের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঢলের পানিতে প্রায় ২০০ বিঘা জমির বোরো থোর ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর নির্মানের ফলে এই দুর্দশার সুষ্টি হয়েছে। উপজেলার হাড়িভাঙা বিলের বিয়াঘাট বাবলাতলা ও জ্ঞানদানগর এলাকায় সৃষ্ট এ সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল হালিম বলেন, ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ধানের থোরও হয়েছে। থোর ধানের শীষের মধ্যে পানি ঢুকলে সে ধান আর ফলে না। পানিতে ডুবে ফসল নষ্ট হলে কিভাবে বাঁচবো?

হালিমের মতো মনিরুল ইসলাম, আব্দুল হাই, নুর ইসলাম, আবু সাইদ, মো. শান্ত সহ অনেকেই ফসল নষ্ট হওয়ার কষ্টে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, পানি বেরোনোর ব্যবস্থা না রেখে এলাকার কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় পানিতে ডুবে যাচ্ছে ধান। পশ্চিমের উজান এলাকা মহিষমারী, সোনাপুর, কুমারখালি ও দস্তনানগর এলাকার ঢলের সমস্ত পানি আমাদের ধানী জমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।

দিশেহারা কৃষক মোশাররফ হোসেন জানান, তার ২ বিঘা জমির রসুন পানিতে ডুবে গেছে। হঠাৎ ঢলের পানিতে সর্বনাশ হলো আমার। অথচ এরজন্য দায়ী পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। এর আগে ইউএনও বরাবর ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধের আবেদন করেও প্রতিকার পাইনি।

স্থানীয় বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সুজা ও ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে না পারায় দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে কৃষকের মাথায়। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। ফসল রক্ষা করে কৃষকদের বাঁচাতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। ওই এলাকার খাস খতিয়ানের জায়গা বাঁশের ডহর বা বালুর ধর নামে পরিচিত মৃত খালটির পানিও বের হতে না পেরে কৃষি জমিতে ঢুকে পড়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, বৃষ্টি বাদলের পর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খোঁজখবর নিচ্ছি। কোথাও সমস্যা দেখলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে সমস্যা হলে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: