দুগ্ধপোষ্য শিশুসহ কারাগারে পাঠানো সেই প্রসূতির জামিন

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে স্বামীর অপরাধে দুগ্ধপোষ্য শিশুসহ এক প্রসূতিকে ২৫ ঘন্টা আটকে রেখে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এনিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে একদিন পর দুগ্ধপোষ্য শিশুসহ কারান্তরীণ ফরিদা ইয়াসমিনকে (২৫) জামিন দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (ঈদাগাঁও) আদালতের বিচারক হামিমুম তানজিন মানবিক দিক বিবেচনায় ২ শিশুসহ তাকে জামিন দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আমিনুল হক।
তিনি বলেন, ২ অবুঝ শিশুসহ এক নারীকে পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে এমন একটি সংবাদ গণমাধ্যমে দেখে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলায় যুক্ত হয়ে বিজ্ঞ আদালতে জামিনের আবেদন করি। আদালত ফরিদা ইয়াসমিনকে জামিন দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজীপাড়া এলাকায় প্রতিবেশী মৃত নজীর আহমেদের ছেলে শাহজাহান ও মৃত আবু শামার ছেলে হারুন অর রশীদের মধ্যে নলকূপের পানি চলাচল নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় শাহাজাহান হারুন অর রশীদকে নখ কাঁটার যন্ত্র দিয়ে আঘাত করলে শাহজাহান আহত হন।
ঘটনার পর পরই কোনো অভিযোগ ছাড়াই ঈদগাঁও থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন ফোর্স নিয়ে বিকালে শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় শাহজাহানকে না পেয়ে তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন, দুগ্ধজাত এক শিশু এবং দুই বছরের আরেক শিশুকে থানায় নিয়ে গিয়ে ২৫ ঘন্টা আটকিয়ে রাখেন। থানার হাজতে মা ও দুই শিশুকে আটকিয়ে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে তোলপাড় শুরু হয়। একপর্যায়ে ওসি আইনগতভাবে বাঁচার জন্য ভিকটিম হারুন অর রশীদের স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে রহস্যজনকভাবে মামলা রেকর্ড করে আদালতে প্রেরণ করেন বলেও জানান স্থানীয়রা।
এদিকে স্ত্রীসহ বাচ্চাদের ধরে এনে আদালতে সোপর্দ করার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলেন, অভিযুক্তকে না পেয়ে স্ত্রী ও দুই শিশুকে থানায় ২৫ ঘণ্টার বেশি সময় আটকিয়ে রাখা সম্পূর্ণ বেআইনি। এ ছাড়া মামলার পর আসামিকে গ্রেফতার করার নিয়ম থাকলেও কীভাবে আটকিয়ে রেখে মামলা করা হয় প্রশ্ন মানবাধিকারকর্মীদের।
ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, ঘটনাটি মীমাংসাযোগ্য। পুলিশ কোনো অভিযোগ ছাড়াই অতিরঞ্জিত করে নিরীহ স্ত্রী ও নিষ্পাপ দুই শিশুকে বেআইনিভাবে থানায় নিয়ে যায়। এটি অমানবিক নিষ্ঠুরতা। স্বামী বা পিতার দোষে নিরীহ বাচ্চাদের ধরে এনে মামলা করাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: