প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

ছাত্রীদের আন্দোলনে সরিয়ে দেওয়া হলো বগুড়ার সেই বিচারককে

   
প্রকাশিত: ৭:০৩ অপরাহ্ণ, ২৩ মার্চ ২০২৩

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগের জেরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিচারিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, সোমবার এক শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা থাকলেও নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে ঝাড়ু দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে অপর সহপাঠীদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। ঘটনার পর ওই মেয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করে পোস্ট দেয়। ওই পোস্টের বিপরীতে পাল্টা উত্তর দেয় তার চার সহপাঠী। পরে বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনের মাধ্যমে ওই চার শিক্ষার্থীর অভিভাবককে বিদ্যালয়ে ডেকে পাঠান।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের ডেকে বিদ্যালয়ে আনেন। পরে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে চার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে জেলে পাঠানোর হুমকি দেন বিচারক। এ সময় বিচারক অভিভাবকদের পা ধরে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

তবে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনের দাবি, ‘দুই অভিভাবক নিজে থেকে পা ধরে ক্ষমা চান। তাদের কেউ বাধ্য করেননি।’

পরে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে অভিভাবকদের ডেকে পা ধরানোর ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। তারা ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধনসহ নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। পরে জেলা প্রশাসকের অনুরোধে ও বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষার্থীরা।

না.হাসান/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: