সাইকেলে দুই বৃদ্ধের ৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম

বাই সাইকেল চালিয়ে যশোর থেকে প্রায় সাড়ে ৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উত্তরে বিভিন্ন মাজার শরীফ জিয়ারত করা ও দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখা জন্য লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার তিনবিঘা করিডোর ও বুড়িমারী স্থলবন্দরে হাবিবুর রহমান (৫৫) ও বাক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ লোকমান হোসেন (৭০) নামে দুই বৃদ্ধ। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বুড়িমারী স্থল বন্দর ও তিনবিঘা করিডর এলাকায় সাইকেল চালিয়ে আসেন তারা।

এর আগে বুধবার সন্ধায় নীলফামারীর জলঢাকা হয়ে তিস্তা ব্যারাজে আসেন। রাতের তিস্তা ব্যারাজ এলাকার একটি মাদ্রাসায় রাত্রিযাপন করে ফজরের নামাজ আদায় করে বুড়িমারী স্থলবন্দর ও তিন বিঘা করিডরের দেখার জন্য রওনা করেন।

দুই বৃদ্ধ হলেন,বাক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ লোকমান হোসেন (৭০)। বাড়ী যশোর জেলার কোতয়ালী থানার খোজারহাটে দৌলতদিয়া গ্রামে। অপরজন হাবিবুর রহমান (৫৫) নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায়। তাদের বাই সাইকেলে লেখা রয়েছে দর্শনীয় স্থান ও মাজার শরীফ জেয়ারত করার উদ্দেশ্যে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবারে (৭ মার্চ) তাদের বাড়ি দৌলতদিয়া থেকে রওনা দেওয়া পরে দেশের উত্তরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন ও মাজার জেয়ারত করেন। টানা ১৬ দিন বাই সাইকেল চালিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে তিনবিঘা ও বুড়িমারী স্থল বন্দরে আসেন।

ভ্রমণকারীদের মধ্যে হাবিবুর রহমান বলেন, মক্কা ও মদীনায় সাইকেল চালিয়ে হজ্ব করার মন মানসিকতা নিয়ে ২০১০/১১ সালের সাইকেল চালিয়ে দেশের ৬৪ টি জেলায় ঘুরিয়াছি। এদিকে বাংলাদেশ থেকে সড়কপথে মক্কা-মদিনায় বাই সাইকেল চালানোর কোন অনুমতি না পাওয়ায় উত্তরের মাজার শরীফ গুলো জেয়ারত ও দর্শনীয় স্থানগুলো গুলো ঘুরে দেখার প্রতিজ্ঞা করি। সে থাকে আমার এই বাকপ্রতিবন্ধী লোকমান ভাইয়ের সাথে সাইকেল নিয়ে উত্তরে বেরিয়ে পড়ি।

তিনি আরও জানান, যেখানেই রাত গভীর হয় সেখানেই মসজিদ-মাদ্রাসা এগিয়ে রাত্রি যাপন করি। মাদ্রাসাগুলোতে গেলে রাতের খাবার তারাই আমাদের খাওয়ান। মাঝে মাঝে কিনেও খেতে হয়। ফজরের নামাজ পড়ে দুজনের সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। সাইকেল চালা নিয়েই উনার সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। আমি ওনার বাসায় গিয়েছিলাম উনি আমার বাড়িতে আসছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: