রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালক খুন

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩, ০২:২০ পিএম

ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে 'নিকিমত' নামে একটি সাব-ঠিকাদারে প্রতিষ্ঠানে গাড়ি চালক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে পাবনা জেলার সীমানাবর্তী কুষ্টিয়ার শিলাইদহ নদীর ঘাটপাড়ে একটি প্রাইভেট গাড়ির ভেতর থেকে মৃত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম সম্রাট (২৯)হোসেন। সে ঈশ্বরদী শহরের আলহাজ্ব ক্যাম্পের আবু বক্কারের ছেলে। জানা যায়, সম্রাট দু'দিন ধরে নিখোঁজ ছিল।

পাবনার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে জানা যায়, চালক সম্রাট কারো দ্বারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু জানানো যাচ্ছে না। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঘটনা তদন্তে নেমেছে।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশ জানায়, সম্রাট গত দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে গতকাল শুক্রবার ঈশ্বরদী থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দেয়। অভিযোগের পরপরই পুলিশ সম্রাটের সন্ধান শনাক্তের জন্য বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নেয়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে 'সম্রাট খুন' হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পুলিশ আরো তৎপর হয়ে ওঠে। তবুও সম্রাটের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে শনিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ শিলাইদহ নদীঘাটে সাদা একটি প্রাইভেট কারের ভেতরে মৃত অবস্থায় একটি লাশের সন্ধান পায়। পরে সম্রাটের বাবা ও প্রাইভেট গাড়ির মালিককে ডেকে এনে সম্রাটের লাশ শনাক্ত করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, সম্রাটের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।ঠিক কি কারনে এই হত্যাকান্ড এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পড়ে জানা যাবে কেনো তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ঘটনার সম্রাটের এক বন্ধু মোমেন খানের স্ত্রী সীমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সীমার স্বামী বাড়ি উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাঁশেরবাদা গ্রামে। সীমার স্বামী মোমিন খান একসময় সম্রাটের সংঙ্গে চাকরি করতেন। ঘটনার পর থেকে মোমেন খান পলাতক রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: