ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণার করতেন জেসমিন: র‍্যাব 

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০২:৩৩ পিএম

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন,  নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে র‍্যাব সদর দপ্তর। আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এ বিষয়ে তদন্ত করছি। তদন্তে কোনো র‍্যাব সদস্যের অবহেলা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। বাহিনীর

র‍্যাব কমান্ডার জানায়, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন যুগ্ম সচিব এনামুল হক। তার নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। তারা এনামুলের নামে বিপুল অর্থ আদায় করে আসছিল। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে এনামুল ২০২২ সালের মার্চে একটি জিডি করেন।

এমনকি একজন মহিলা তার নামে আইডি ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলেন মর্মে আদালতে একটি মামলাও করেন এনামুল। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন এবং বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হয়েছেন।

গত ১৯ ও ২০ মার্চ এনামুলের নাম-পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানতে পারেন। প্রাথমিকভাবে তিনি জানতে পারেন এ প্রতারণায় আলামিন নামে একজন রয়েছেন এবং তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন জেসমিন নামে একজন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২২ মার্চ অফিস যাওয়ার সময় র‍্যাবের টহল টিম দেখে এনামুল এ বিষয়ে অভিযোগ করে সহায়তা চান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাবের টিম এনামুলসহ গিয়ে তার সামনে সুলতানা জেসমিনকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অন্য আরো ২ জন সাক্ষীর সামনে র‌্যাবের নারী সদস্যরা জেসমিনকে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

র‍্যাব কমান্ডার দাবি করেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন তিনি। তার কাছ থেকে আলামত হিসেবে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, সুলতানা জেসমিনকে নিয়ে আমরা একটি কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে গেলে আলামতগুলো প্রিন্ট করা হয়। পরে সেখান থেকে থানায় নেবার সময় অসুস্থ বোধ করলে জেসমিনকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পরিবারের সহযোগীতায় দুদিন চিকিৎসা চলে তার।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে র‍্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে ময়নাতদন্ত প্রতিবদেন জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এতে অস্বাভাবিক উচ্চ রক্তচাপকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের উপর আজ শুনানি হবার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ নওগাঁয় র‌্যাবের হাতে আটকের পর সুলতানা জেসমিন নামে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২২ মার্চ আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরের দিকে সুলতানার মরদেহ বুঝে পায় তার পরিবার। সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: