স্ত্রীকে চুমু খেলে বা জড়িয়ে ধরলে কি রোজা ভাঙবে

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪৫ পিএম

রোজা রেখে স্ত্রীকে চুমু খাওয়া বা জড়িয়ে ধরলে রোজা ভাঙবে না। তবে শর্ত হলো—বীর্যপাত ঘটা বা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে রোজা ভেঙে যাবে। হাদিসে এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা রেখে স্ত্রীকে চুমু খেতেন, স্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন করতেন। তিনি ছিলেন আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে সক্ষম ব্যক্তি।’ (বুখারি: ১৮৪১; মুসলিম: ১১২১)

তবে বীর্যপাত হওয়ার বা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে এমনটি করা মাকরুহ। বিশেষ করে যুবকদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, ‘আমরা নবী (সা.)-এর কাছে বসা ছিলাম। তখন এক যুবক এলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি কি রোজা রেখে চুমু খেতে পারি?’ নবী (সা.) বললেন, ‘না।’ এরপর এক বৃদ্ধ এলেন এবং একই প্রশ্ন করলেন। নবী (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ।’

আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবী (সা.) বললেন, ‘আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোনো, বৃদ্ধ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ২/১৮০ ও ২৫০)

স্ত্রীকে চুমু খাওয়া বা জড়িয়ে ধরার কারণে যদি বীর্যপাত হয়ে যায়, তবে দিনের বাকি অংশ কিছু না খেয়ে রোজাদারের মতোই কাটাতে হবে। পরে সেই রোজার কাজা করতে হবে। তবে কাফফারা আদায় করতে হবে না। আর বীর্যপাত না হয়ে শুধু কামরস (যে পিচ্ছিল পদার্থ বীর্যপাতের আগে বের হয়) বের হলে রোজার ক্ষতি হবে না।

তবে রোজা যেহেতু পানাহার ও যৌনতা থেকে সংযমী হওয়ার মাস, তাই এই মাসে দিনের বেলায় রোজাদারদের যৌন উত্তেজক কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। (আহসানুল ফাতাওয়া, ফাতাওয়া দারুল উলুম, ইমদাদুল ফাতাওয়া, মিনহাতুল বারি: ৩৬৪ /৪)

উল্লেখ্য, স্ত্রী ছাড়া অন্য কাউকে কামনা নিয়ে চুমু খাওয়া বা জড়িয়ে ধরা ইসলাম অনুমোদন করে না। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি জঘন্য গুনাহ। তবে কেউ করলে তার ক্ষেত্রেও একই সমাধান প্রযোজ্য হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: