বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দাবি জানিয়ে প্রতিবাদী মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৯ পিএম

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষককে নিয়ে অপপ্রচার এবং কেন্দ্রীয় ইমামের বিরুদ্ধে বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত সংবাদ প্রচারিত হয়েছে দাবি করে বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক ফোরামের সংবাদকর্মী ও সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ ২০২৩) বেলা ১১টায় একাডেমীক ভবনের সামনে মানববন্ধনের অংশ নেন দুই শতাধিক শিক্ষক- শিক্ষার্থী।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘‘যিনি গবেষণা নিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিউজ লিখেছেন তার হয়তো জানা নেই গত ১০ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ধৃতি, এইচ-ইনডেক্স, সহ-লেখকত্ব সামঞ্জস্য করা, এইচএম-ইনডেক্স ইত্যাদির ভিত্তিতে Stanford University, USA এবং Elsevier কর্তৃক পরিচালিত সমীক্ষায় বিশ্বের শীর্ষ ২% গবেষকদের বৈশ্বিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বিশ্বের শীর্ষ ২%গবেষকের তালিকায় রয়েছেন শুধু তাই নয় বাংলাদেশে ২য় হয়েছেন। উক্ত সংবাদকর্মী কি জানেন যে ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে ৫০০+পাবলিকেশন এবং ৫০০০+ সাইটেশন থাকার অর্থ কি? যার গবেষণা নিয়ে সামন্যতম ধারনা নেই সে কিভাবে একজন গবেষকের গবেষণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। শুধু তাই নয় গত বছরও আমরা আমাদের ম্যামদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত নিউজ করতে দেখেছি।"

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহমেদ বলেন, ‘‘সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা যাদেরকে জাতির বিবেক হিসেবে বিবেচনা করা হয় কিন্তু আমরা যা দেখছি এবং যা ঘটছে তা সত্যিই দুঃখজনক যে শিক্ষকের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে তার পাবলিকেশনের সংখ্যা ৫ শতাধিক অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইস ডি রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী একজনের সর্বচ্চো তিনটি পাবলিকেশন প্রয়োজন।একারণে এসব হলুদ সাংবাদিক যাতে সমূলে উৎপাটিত হয় এজন্য সবার এগিয়ে আসা দরকার’’

এছাড়াও মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামান বরাবর উক্ত সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ ও সাংবাদিক ফোরাম এর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা, আইসিটি আইনে মামলাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়ে ফার্মেসী বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করে।

মানববন্ধনে বিগতদিনের ক্রমাগত ইমাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে নিয়ে লেখার ঘটনাকে 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' আখ্যা দিয়ে সাংবাদিক ফোরামকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বয়কট করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, গতকাল ২৯মার্চ ২০২৩ বশেমুরবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষককে নিয়ে মেজবাহ রহমান সুপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রুপে শিক্ষাসনদ ভয়ংকর চিত্র -১ নামে লেখালেখি ও ২৮ মার্চ ২০২৩ কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নিয়ে জাতীয় দৈনিক যুগান্তরে ১২নং পাতায় “বেতন নিয়ে নামাজ পড়ান না বশেমুরবিপ্রবির ইমাম” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করেন যুগান্তরের বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি শেখ আব্দুর রহিম। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ ও পোস্টে ছড়িয়ে পড়লে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: