ঘরে পড়েছিল মেয়ের লাশ, বাবা-মা জানে না মৃত্যুর কারণ

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম

বান্দরবানের লামা উপজেলায় ১১ বছরের এক কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড দুর্গম ডলুঝিরি আগা মো. সোলেমান এর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের বাবা ও মা সন্ধ্যায় মেয়েকে লামা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এলে পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি লামা থানায় নিয়ে যায়।

নিহত কন্যা শিশু জেসমিন আক্তার (১১) ডলুঝিরি এলাকার মো. জিহাদ এর মেয়ে। ৭ বছর আগে মেয়েটির বাবা মো. জিহাদের সাথে তার মা আলেকনুর বেগমের ডিভোর্স হয়ে যায় এবং তার মা মো. সোলেমান কে বিবাহ করে। সে তার মায়ের সাথে সৎ বাবা মো. সোলেমান এর বাড়িতে থাকত।

নিহতের মা আলেকনুর বেগম বলেন, ‘সকালে তার বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারসহ তার আরও তিন সন্তান আজগর আলী (৭), সোনিয়া (৪) এবং রমজান আলী (১) কে বাড়িতে রেখে তারা স্বামী-স্ত্রী অন্যের তামাক ক্ষেতে দিনমজুরী করতে যায়। দুপুরে তার সাত বছরের ছেলে আজগর আলী গিয়ে জানায় জেসমিন আক্তার কথা বলছেনা। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি জেসমিন আক্তারের লাশ বাড়ির উঠানে রাখা হয়েছে। কি কারণে কিভাবে মেয়ে মারা গেছে তারা জানেনা। তবে মেয়ে গলায় কালো দাগ রয়েছে।

নিহত জেসমিন আক্তারের আপন বাবা মোঃ জিহাদ বলেন, আমি তাদের বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে থাকি। ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে আমি তেমন খোঁজখবর নিতামনা। কিভাবে মেয়েটি মারা গেছে জানিনা।

লামা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার মো. জুনায়েদ বলেন, মেয়েটির গলায় কালো দাগ রয়েছে। কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তে করলে বেরিয়ে আসবে। রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহ আলম বলেন, মেয়েটির মায়ের নিজ বাড়ি আমার ওয়ার্ডে মুসলিম পাড়ায়। লাশটি বিকেলে রূপসীপাড়া বাজারে আনা হলে বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করি।

লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। গলা ছাড়া আর কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। শনিবার সকালে লাশটি বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাকতন্তের জন্য পাঠানো হবে। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: