বীর নিবাসের মুখ দেখতে পাননি বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী

প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ১৮ মাস পার হলেও বীর নিবাসের মুখ দেখতে পাননি বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে পৌরসভার পালবাড়ী (পপুলার মোড়) এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আঃ রহমান খাঁন (চাঁন খা) এর বিধবা স্ত্রী হেনা বেওয়া মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানাগেছে। কি কারণে বীর নিবাস নির্মান কাজ বন্ধ তাও তাকে জানানো হয়নি।

অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মান প্রকল্পের অধীনে বীর নিবাস নির্মান শুরু করে। উপজেলায় প্রথম পর্যায়ের ১১টি নিবাস নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় পৌরসভার পালবাড়ী (পপুলার মোড়) এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আঃ রহমান খাঁন (চাঁন খা)এর পরিবারের জন্য আবাস ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। নির্মান কাজের প্রতিটি স্তরে ১নং ইট, সিমেন্ট, বালু ও খোয়ার অনুপাত মানা হয়নি বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম চাঁন খা এর বিধবা স্ত্রী হেনা বেওয়া অভিযোগ করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ করলে তারা ভিটি পর্যন্ত কাজ করে হঠাৎ বন্ধ করে দেন। হতাশাগ্রস্থ্য হেনা বেওয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রাজু ডিলার (ঠিকাদার রাজু) সিমেন্টের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে কাজ বন্ধ করেছেন।

রাজু ডিলার তাকে জানিয়েছেন দাম কমলেই কাজ শুরু হবে। হেনা বেওয়া প্রশাসনে কোন ধরনের অভিযোগ না করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলেন ‘কেস (অভিযোগ) করে কি করতে পারবেন’? তাদের বাবা ডেকেও কোন লাভ হয়নি বলে তিনি জানান। ১ পুত্র ৪ কন্যার মা হেনা বেওয়া বীর নিবাস নির্মান কাজ বন্ধ থাকার কারনে সীমাহীন কষ্টের কথা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। বর্তমানে অবিাহিত কন্যাকে নিয়ে বড় কন্যা রুমি আক্তারের খুপড়ি ঘরে অনেক কষ্টে রাত্রীযাপন করছেন।

একাধিক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার তাদের বীর নিবাস নির্মান কাজে গুরুতর অনিয়ম করার অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্প কার্যালয় থেকে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে স্থানীয় রাজু ডিলারের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দেশের বীর নিবাস নির্মানে সীমাহীন অনিয়ম ও র্দূণীতির বেশ কয়েটি অভিযোগের কারনে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মান প্রকল্প মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এম. ইদ্রিস সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরনের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয় বলে জানাগেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মান প্রকল্পর বিষয়টি উপজলো প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তদারকি করছেন। এ বিষয়ে আমি জানি না।

জানতে চেয়ে উপজলো প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবিরকে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। বিষয়টি যাচাই করে আপনাদের জানাবো।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: