আবাসন প্রকল্পের ঘরে বসবাসকারীদের মানবেতর জীবনযাপন নজরে এলো প্রশাসনের

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৩, ০৪:১১ পিএম

আবদুল্লাহ-আল-অনিক, বাগাতিপাড়া (নাটোর) থেকে: নাটোরের বাগাতিপাড়ার পাঁকা ইউনিয়নের সালাইনগর এলাকার আবাসন প্রকল্পের ঘরে বসবাসকারীদের মানবেতর জীবন যাপন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তা নজরে এলো প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই আবাসন প্রকল্পের ঘরগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকার।

এসময় তাঁর সাথে ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহাদ আলী প্রমূখ।ওই আবাসনটির সভাপতি বাবলুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে ইউএনও ম্যাডামসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তা আবাসনের ঘরগুলো পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। তিনি পুরো আবাসনের সব ঘর সরেজমিনে দেখেছেন এবং ছবি তুলেছেন। আর আমাদের আশ্বস্ত করেছেন অল্পদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিবেন।

এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকার বলেন, আবাসনটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে উর্ধতনের সাথে কথা বলা হয়েছে। এখন রিপোর্ট পাঠানো হবে। বরাদ্দ আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে আবাসন প্রকল্পের আওতায় ওই ৪০ টি ঘর নির্মাণ কাজ করছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। সেই কাজ শেষে ২০০৬ সালে ঘরগুলো তাদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। ওই প্রকল্পের ৪০ টি ঘরের মেঝে মাটি দিয়ে তৈরি, বেড়া ও চালে টিন ব্যবহার করা হয়েছে এবং ঘরের কিনারা ইট দিয়ে পাকা করা। ঘরগুলোর বয়স দীর্ঘদিন হওয়ায় এখন বেড়ার টিনগুলোর নিচের অংশ ভেঙে গিয়েছে। সাপ, ব্যাঙ, শেয়াল, কুকুর, বিড়ালসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ঘরের মধ্যে অবাধে চলাচল করতে পারে।

অপরদিকে ৩০ টি ঘরের টিনের চালায় মরিচা ধরে অসংখ্য ফুটো হয়ে যাওয়াতে বৃষ্টি হলেই ঘরের ভিতর পানি পড়ে। সেই পানিতে বিছানা পত্র ভিজে গিয়ে বসবাসের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই ঘরের টিনের উপর পলিথিন দিয়েছেন। কিন্তু সেই পলিথিনও সামান্য বাতাসেই উড়ে যায় এবং ছিঁড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া ৪০ টি পরিবারে প্রায় ১৬০ জন মানুষের জন্য মাত্র দুইটি নিম্নমানের শৌচাগার রয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরাও তাদের কোন খোঁজ খবর নেয়না। সরকারি কোন অনুদানও তাদের দেওয়া হয়না। ফলে চরম বিপাকে রয়েছেন তাঁরা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: