বিধবা ভাবীকে বিয়ে করতে যুবকের কাণ্ড

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৩, ০৬:৪৩ পিএম

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরঝিকড়ী গ্রামের মালেক মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম মন্ডল একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের মেয়েকে বিয়ে করেছিল ৫ বছর আগে। তাদের সংসারে ৮ মাসের শেফা নামের একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে।

শফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নিজের স্ত্রীকে এক তরফা তালাক দিয়ে
সদ্য প্রায়ত নিজের বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে সংসার বাধঁতে চলছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

চলতি বছরের ফ্রেরুয়ারী মাসে শফিকুল ইসলামের বড় ভাই ফরিদ মন্ডল মারা যাওয়ার ৫/৭ দিনে মাথায় স্ত্রী তামান্নাকে নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে শফিক ও তার
পরিবার, সেই সাথে স্ত্রী তামান্নার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে।

শফিক মন্ডলের স্ত্রী তামান্না বলেন, আমার ভাসুর মারা যাওয়ার পরে মিলাদের দিন থেকেই আমাকে পরিকল্পিত ভাবে নির্যাতন শুরু করে, আমার ভাসুরের ২টি ছেলে রয়েছে তাদের সম্পদ ধরে রাখার লোভে পড়ে আমি ও আমার কন্যা সন্তানকে তাড়িয়ে দেওয়ার নানা পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে শফিক ও তার পরিবার।

আমার শ্বশুর-শাশুড়ি অসংখ্য বার আমার সামনেই বলেছে তোকে রাখব না বড় বউকে শফিকের সাথে বিয়ে দিয়ে সংসার করাব, তোর তো মেয়ে আমরা তোকে তাড়িয়ে দিব তুই তোর বাপের বাড়ী চলে যা।

তামান্না আরো বলেন, এলাকার অনেক মানুষ আমাকে বলেছে তোকে তালাক
দিয়ে তোর ভাসুরের বউকে বিয়ে করবে শফিক আর সব জমির মালিক হবে সে,
তোর তো মেয়ে তাই তোকে তাড়িয়ে দিবে। তামান্না আরো বলেন, ৫ বছর ওর সাথে সংসার করেছি কোন দিন কোন অপবাদ শুনিনি অথচ সম্প্রতি আমাকে নিয়ে নানা বাজে কথা বলতে শুরু করেছে শফিক ও তার পরিবার।

আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে তারা। আমি সংসার করতে চাই আমার মেয়েকে নিয়ে। আমাদের সুখের সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে শুধু মাত্র অর্থের লোভে। জমির লোভে। বিয়ের সময় আমার পরিবর রাজি ছিল না। তবু আমরা সংসার করেছি দির্ঘ ৫ বছর এর মধ্যে আমার একটি কন্যা সন্তান হয়েছে ওর বয়স ৮ মাস মাত্র। আমি আমার বাবার বাড়ীতেই এখন থাকছি।

এ ব্যাপারে পাংশা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন তামান্নার পিতা এ বিষয়ে থানায় বসার কথা ছিল কিন্তু তারা যায়নি। তামান্নার অসহায় পিতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি অসহায় আমার এই মেয়ে নিয়ে আমি কি করব আমি দুঃচিন্তায় আছি এর একটা বিধি ব্যবস্থা হওয়া দরকার।

স্থানীয় একাধীক ব্যাক্তির সাথে কথা হলে তারা বলেন, শফিক মন্ডল তার ভাইয়ের
বিধবা স্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেলে নিয়ে ঘুরে রেড়াতে দেখেছি আমরা। শুনেছি সে নাকি তার ভাবীকে বিয়ে করবে।

এ ব্যাপারে তামান্নার পরিবার হতাশায় ভূগছেন। তারা আদালতে মামলার প্রস্তুুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তামান্নার পরিবার।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি দোকানে ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব, পরে আর কথা হয়নি। তিনি বলেছিলেন আমি আমার ভাবীবে বিয়ে করিনি।

এ ব্যপারে পাংশা মডেল থানার এ এস আই মোঃ আব্বাস উদ্দিন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমি তাদের ডেকে ছিলাম। শফিকের পরিবার হাজির না হওয়ায় আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি মেয়ের পরিবারকে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: